
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
কক্সবাজারের টেকনাফে ফলদ বাগানে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের ফাঁদে পড়ে শর্টেই এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করলেও নিহতের পরিবারের দাবী পূর্ব শত্রুতার জেরধরে এই কিশোরকে খুন করা হয়েছে।
১৭ জুলাই (শনিবার) সকাল ১১টারদিকে টেকনাফ মডেল থানার এসআই আবু সাঈদ সর্ঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে টেকনাফ সদর ইউপির দক্ষিণ লেঙ্গুরবিলের মৃত নজু মিয়ার পুত্র জাহেদ হোছনের ফলদ বাগান সংলগ্ন এলাকা থেকে স্থানীয় ছৈয়দ আকবরের কিশোর পুত্র শুক্কুর আহমদ (১৩)এর মৃতদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরীর পর পোস্টমর্টের জন্য নিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়া জানান, সকালের দিকে পুলিশ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট একজন যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অবগত হয়েছি।
টেকনাফ মডেল থানার এসআই আবু সাঈদ জানান, মৃতদেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,গত ১৬/০৭/২০২১শুক্কুর আহমদ বাড়ির সামনে রাত ৭টারদিকে বাড়ির সামনে চাচাতো ভাইয়ের দোকানে আড্ডা দিয়েছিল, সেখানে কিছুক্ষণ বসার পর দোকান থেকে চলে যায়। এরপর রাত যখন গভীর হতে থাকে তখনও ছেলে বাড়িতে না ফেরায় মা এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা তাকে খুঁজতে থাকে। না পেয়ে হতাশ হয়ে গভীর রাতে মা-বাবা বাড়ি ফিরে আসে। সকালে পাশের বাড়ির মাহমুদা খাতুন নামে এক মেয়ে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় বাগানের মালিক জাহেদকে বৈদ্যুতিক তাঁরসহ বাগানে দেখতে পায়। তখন সে কৌশলে লুকিয়ে থাকার চেষ্টা চালায়। কিছুক্ষণ পর এলাকার নুর বেগম পাঁটি ধুঁতে জাহেদ হোসেনের বাগানের পশ্চিম বিলে গেলে হাঁটু পানিতে কি যেন দেখতে পায়। তখন সামনে এগিয়ে গিয়ে নুর বেগম শুক্কুৃরের মৃতদেহ দেখতে পায়। এরপর কান্নাকাটি শুরু হয় এবং থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
মা ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, উক্ত জাহেদের সাথে এলাকাবাসীর তেমন সুসম্পর্ক নেই। সে উগ্র স্বভাবের। ফলদ বাগানের ফল রক্ষার নামে পুরো বাগান জুড়ে বিদ্যুৎ শর্ট দিয়ে রাখায় এত বড় দূঘর্টনায় প্রাণহানি ঘটল।
পাঠকের মতামত