
মোঃ হাবিবুর রহমান:
বাজার গুলোতে লাগামহীনভাবে বাড়ছে ওষুধের দাম। কোভিড-১৯ শুরুর পর থেকে তিন-চারগুন হারে বাড়ছে বিভিন্ন ওষুধের দাম। যেমন, কোভিড আক্রান্ত রোগীদের ওযুধ, উচ্চ রক্তচাপ, গ্যাস্ট্রিকসহ বেশ কিছু ওষুধের প্রতি পিসে দাম বেড়েছে দুই থেকে ৩ গুণ।
এদিকে বেশিরভাগ ওষুধের দাম ৮০ থেকে ৯৫ শতাংশ বাড়ায় হতাশ অসহায় জনসাধারণ ও ওষুধ ক্রেতারা। ওষুধের দাম তিনগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেলেও এটিকে যৌক্তিক বলেই মনে করছে খোদ ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। তবে দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে সরকারকে অনুরোধ করেছে সাধারণ জনগণ।
রাজশাহী মেডিকাল কলেজ হাসপাতাল আসা কোভিড রোগীর আত্নীয় রাকিব জানান, ওষুধের যে দাম তাতে রোগী ছেড়ে পালাতে হবে। আরেক রোগীর সজন কাদের হোসেন জানান, এক মাস আগেও হাড় ক্ষয় রোগের ১৫০ মিলিগ্রামের প্রতিটি ট্যাবলেট বিক্রি হতো ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। হঠাৎই একটি কোম্পানির ওষুধের দাম দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে চলতি মাসে ব্রিক্রি হচ্ছে ১২শ’ টাকায়। একই জেনেরিকের আরও দুটি ওষুধ বিক্রি হচ্ছে ১৫শ’ ও ১৯৬০ টাকায়।
শুধু কোভিডকে পুঁজি করে একমাসের মধ্যে বেশিরভাগ কোম্পানিই গড়ে প্রতিটি ট্যাবলেটের দাম বাড়িয়েছে ৩ থেকে ৯ টাকা পর্যন্ত। যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে দ্বিগুণ তিনগুণ দাম বাড়ায় দিশেহারা সাধারণ মানুষ।
ওষুধ প্রশাসনের নাম প্রাকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকতা জানান, তথ্য অনুযায়ী ৫টি প্রতিষ্ঠানের ১০টি ওষুধের দাম বৃদ্ধি ও ৯০টি ওষুধের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। সমন্বয়ের ক্ষেত্রে দামে পিছিয়ে থাকা কোম্পানিগুলোর মূল্য বৃদ্ধিকে যৌক্তিক মনে করে স্বয়ং ওষুধ প্রশাসনও।
ওষুধ প্রশাসনের পরিচালক মো. রুহুল আমিন বলেন, মূল্য সমন্বয় করতে চাই-এটাই বেশি হয়। তারা যৌক্তিক বলেই প্রস্তাবনাটা দেয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের খরচটা বেড়ে গেছে।
এ অবস্থায় ওষুধের দাম নির্ধারণে সরকারকে আরও আন্তরিক হওয়ার কথা জানিয়েছেন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ ।
পাঠকের মতামত