
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ ও মায়ানমারের আরাকান রাজ্যে অবস্থানরত রোহিঙ্গা কমিউনিটির টেকসই উন্নয়নে ডব্লিউএফপিকে ৮ লক্ষ ডলার অনুদান দিয়েছে কোরিয়া। সংস্থাটি এক বিজ্ঞপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ, ব্যাংকক, সিউল-বাংলাদেশ ও মায়ানমারে পরিচালিত কর্মকাণ্ডে সহায়তামূলক অনুদান হিসেবে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের কাছ থেকে আট লক্ষ ইউএস ডলার অনুদান গ্রহণ করেছে।
কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের এই অনুদান মায়ানমারের সংঘাতপূর্ণ রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত কমিউনিটিদের চাহিদা পূরণে ডব্লিউএফপিকে সহায়তা করবে; এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে রাখাইন রাজ্যে ডব্লিউএফপি ৩ লক্ষ ২০ হাজার মানুষকে মাসিক ভিত্তিতে জীবন রক্ষাকারী খাদ্য সহায়তা প্রদান করে থাকে, যাদের অনেকেই রোহিঙ্গা।
আগে থেকে বিদ্যমান দারিদ্র্য, কোভিড-১৯ এবং চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা পুরো মায়ানমার জুড়ে ৩.৪ মিলিয়ন বাড়তি মানুষকে, বিশেষত শহরাঞ্চলের দরিদ্র মানুষদের খাদ্য অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে। অধিকন্তু, এ বছরের ফেব্রুয়ারী থেকে দুই লক্ষের বেশী মানুষ তাদের বসতবাড়ি থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে দেশটিতে বিদ্যমান সশস্ত্র সংঘাত ও সহিংসতার কারণে।
বাংলাদেশে এই কোরিয়ান অনুদানের মাধ্যমে ডব্লিউএফপি কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে অবস্থানরত ৮ লক্ষ ৬০ হাজার রোহিঙ্গাকে মানবিক সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখবে। প্রায় সকল রোহিঙ্গা (৯৬ শতাংশ) সম্পূর্ণভাবে বাহ্যিক সহযোগিতার ওপর নির্ভরশীল।
ডব্লিউএফপি’র সহযোগিতায় সকল রোহিঙ্গা পরিবারের কাছেই এখন রয়েছে ইলেকট্রনিক ভাউচার যা ব্যবহার করে তারা খুচরা বিক্রির দোকান থেকে স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও কৃষক-কর্তৃক সরবরাহকৃত সতেজ ও প্রধান খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ করতে পারে।
এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ডব্লিউএফপি’র রিজিওনাল ডিরেক্টর জন আইলিয়েফ বলেন, “এই দুই দেশে জরুরি চাহিদা পূরণে আমাদের সময়োপযোগী সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। গত বছর রেকর্ড সংখ্যক ১৪ মিলিয়ন মানুষের কাছে আমরা সহযোগিতা পৌঁছে দিয়েছি, এবং এই বছর কোভিড-১৯ মহামারীর প্রকোপ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তা আরো বেশী জরুরি হয়ে পড়েছে। আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা কোরিয়ার জনগণকে এবং এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের মানুষদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
পাঠকের মতামত