সোয়েব সাঈদ, রামু:
রামুতে চুরির অভিযোগে ২ শিশুকে নির্যাতন করার ঘটনায় ১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক আরমানুল করিম ঈদগড় ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের শরীফ পাড়া এলাকার নেজাম উদ্দিনের ছেলে।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) রাতে রামু থানা পুলিশ তাকে আটক করে।
রামু থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন- দেড়শ টাকা চুরির অভিযোগে দুই শিশুকে মুরগির খাঁচায় বন্দি করে নির্যাতন করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) রামু উপজেলার পাহাড়ি জনপদ ঈদগড় ইউনিয়নের ঈদগড় বাজারের একটি মুরগির দোকানে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (৫ জুলাই) এ নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ পায়।
নির্যাতনের শিকার শিশুর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে- আওয়ামী লীগ নেতা রিফাত করিম ও আরমানুল করিম নামের দুই ব্যক্তি দেড়শ টাকার চুরির অভিযোগে সোহেল ও রশিদ নামের দুই শিশুকে মুরগীর খাচায় বেধে শারীরিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতনের শিকার শিশুরা হলো ঈদগড় ৪নং ওয়ার্ডের মো. শরিফ পাড়ার মো. নুরুল আলম ছেলে সোহেল (১০) ও রশিদ আহমদের ছেলে ইব্রাহিম (১০)।
ঈদগড় ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ ভুট্টো জানান- ঈদগড় বাজারে আওয়ামী লীগ নেতা রিফাত করিমের একটা মুরগির দোকান আছে। সেখানে পেটের দায়ে দু’বেলা ভাতের বিনিময়ে কাজ করে শিশু সোহেল। ওই দোকান থেকে মাত্র দেড়শ টাকা চুরির অভিযোগে শিশু সোহেল ও তার বন্ধু ইব্রাহিমকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা দশ ঘণ্টা মুরগির খাঁচায় বন্দি রেখে শত শত মানুষের সামনে নির্যাতন করেন রিফাত। স্থানীয়রা আকুতি জানালেও শিশু দুটিকে ছেড়ে দেয়া হয়নি।
অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা রিফাত করিম নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান-সোহেল টাকা চুরি করে পাশ্ববর্তী দোকানে থাকা তার বন্ধু ইব্রাহীমকে দিয়েছে এমন সন্দেহ হলে তাদের আমি খাঁচায় ডুকিয়ে জিজ্ঞাষাবাদ করি। এক পর্যায়ে সোহেল চুরির কথাও স্বীকার করে।
রামু থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, শিশু নির্যাতনের ভিডিও ক্লিপ দেখে আমি স্বপ্রণোদিতভাবে আমার একজন অফিসারকে ওই এলাকায় পাঠিয়েছিলাম। এ নিয়ে থানায় মামলা হয়েছে এবং জড়িতদের মধ্যে অন্যতম আরমানুল করিমকে আটক করা হয়েছে। অন্যান্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।
পাঠকের মতামত