সোয়েব সাঈদ, রামু:
কক্সবাজারের রামুতে বিয়ের দুইদিন আগে এসিড নিক্ষেপ করে কিশোরীর মুখ দগ্ধ করার ঘটনায় মূল হোতা নুরুল আবছার ভূট্টোকে গ্রেফকার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) রাত দশটায় রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের মাঝির কাটা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
অপরদিকে এসিড দগ্ধ কিশোরী তৈয়বা আকতারকে বুধবার বিকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় তৈয়বা আকতারের পিতা মোজাফ্ফর আহমদ বাদি হয়ে মঙ্গলবার রামু থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
উল্লেখ্য আগামী শুক্রবার ছিলো তৈয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসার দিন। বিয়ের মাত্র তিনদিন আগেই তাকে এসিডে ঝলসে দিলো দুর্বৃত্তরা। তৈয়বা রামু উপজেলার গর্জনিয়ার মাঝিরঘাটের মোজাফ্ফর আহমেদের মেয়ে।
পরিবারের দাবি, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ভোররাতে মায়ের সাথে প্রাকৃতিক কর্ম সারতে বেরিয়েছিলো তৈয়বা। কিন্তু পূর্বে থেকে উৎপেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তার শরীরে এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। মায়ের পাহারাও তাকে রক্ষা করতে পারেনি। কিছু বুঝে উঠার আগেই তৈয়বার মুখে এসিড ছুড়ে পালিয়ে যায় তারা।
তৈয়বার বাবা মোজাফ্ফর আহমেদ বলেন, স্থানীয় বাদশা মিয়ার ছেলেদের সঙ্গে টাকা ধার দেয়া নিয়ে ঝামেলা চলে আসছিল। রাতের আধাঁরে তার ছেলেরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (প্রশাসন) ডাঃ নওশেদ রিয়াদ বলেন, তরুণীর প্রায় মুখমন্ডলের ডান পাশে প্রায় ৫ শতাংশ ঝলসে গেছে। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
রামু থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন-এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত নুরুল আবছার ভূট্টোকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত অপরজনকেও আটকের চেষ্টা চলছে।
এদিকে রামুর গর্জনিয়ায় এসিড দগ্ধ তৈয়বা আকতারের পরিবারকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে। বুধবার (৭ জুলাই) রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা তৈয়বা আকতারের পিতা মোজাফ্ফর আহমদের হাতে এ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।
এসময় রামু থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল হোসাইন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত