
ডেস্ক রিপোর্ট।। চট্টগ্রামের রহমতগঞ্জে ২০০৬ সালে এক নারীকে হত্যার দায়ে ২০১৭ সালে কুলসুমা আক্তার নামে আরেক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। তবে সন্তানদের খাওয়া-দাওয়া এবং আর্থিক কিছু সহায়তার প্রতিশ্রুতিতে কুলসুমা আক্তার ‘সেজে’ মিনু আক্তার নামে এক নারী ‘স্বেচ্ছায়’ আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। প্রায় তিন বছর কারাগারে থাকার পর চলতি বছরের ১৮ মার্চ কারা কর্তৃপক্ষকে মিনু আক্তার জানান, তিনি কোনো মামলার আসামি নন। তার নাম কুলসুমাও নয়। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ১৬ জুন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান মিনু আক্তার।
তবে মুক্তির মাত্র ১৩ দিনের মাথায় অন্যের হয়ে তিন বছর জেল খাটা মিনু আক্তার ‘ট্রাকচাপায়’ মারা গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বায়েজিদ থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান জানান, গত ২৮ জুন রাত সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রামের বায়েজিদ লিংক রোডে ট্রাকের চাপায় এক নারীর মৃত্যুর পর আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম বেওয়ারিশ হিসেবে তার লাশ দাফন করে। শনিবার পুলিশ নিশ্চিত হয়, নিহত ওই নারী ছিলেন মিনু আক্তার।
এদিকে মিনুর আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বলছেন, এই মৃত্যু ‘অস্বাভাবিক’। মৃত্যুর কারণ জানতে আদালতের দারস্থ হবেন তারা।
ত্রিশোর্ধ মিনুর বাড়ি কুমিল্লার ময়নামতি এলাকায়। স্বামী ঠেলাগাড়ি চালক বাবুল বছর পাঁচেক আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।
পাঠকের মতামত