
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঈদগাঁও নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও
টানা বর্ষণের ফলে ভেঙ্গে গেছে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও নদীর উপর নির্মিত” মঞ্জুর মৌলভীর দোকান হইতে রমজান মিয়ার ঘাটা ” ব্রীজটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ঈদগাঁও জালালাবাদ ও পোকখালী ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগের সংযোগ ব্রীজটি এতে ভোগান্তিতে পড়েছে দুই ইউনিয়নের প্রায় অর্ধ লক্ষ মানুষ। জনদুর্ভোগ নিরসনে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্রীজের নীচ থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন , টানা বৃষ্টি ও পাহাড়িঢলের পানিতে ব্রীজটি ভেঙ্গে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির পাহাড়ী ঢলে বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ে। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে দুই ইউনিয়নের সাথে ঈদগাঁও থানাসহ বাজারে যোগাযোগ। তা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় কৃষকের উৎপাদিত পণ্য ক্রয় বিক্রয় বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছে এতদঞ্চলের জনসাধারণ।
স্থানীয়দের
দেয়া তথ্য মতে, উক্ত
নদীতে নৌকা দিয়ে ড্রেজার মেশিনে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে আসছে। অতিমাত্রায় বালি উত্তোলনের ফলে ব্রীজের স্প্যান দুর্বল হয়ে পড়ে। যারফলে পাহাড়ী ঢলেই ভেঙ্গে পড়ে ব্রীজটি। জনগণের স্বার্থ বিরোধী কর্মকান্ডের জন্য বালি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় দুই ইউনিয়নের প্রায় অর্ধ লক্ষ মানুষের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ফলে স্থানীয় কৃষকের উৎপাদি কৃষি পণ্য বাজারজাত করতে না পেরে ক্ষতির মুখে পড়বে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় দশ বছর পূর্বে ঈদগাঁও নদীতে ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়। এটি দ্রুত নির্মাণ করা না গেলে চরম ভোগান্তিতে পড়বে পথচারীরা।
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় বলেন, ব্রীজ ভাঙ্গার খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প কর্মকর্তাকে সাথে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। যেহেতু এটি বড়প্রকল্প সেহেতু সিদ্ধান্তটা উপর থেকে আসতে হবে। আপাতত দুই ইউনিয়নের লোকজন যেন চলাফেরা করতে পারে সে জন্য বিকল্প কি করা যায় তা নিয়ে ভাবা হচ্ছে।
তিনি বলেন, কেউ যদি অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ফলে এ দূর্ঘটনা ঘটে তবে তাও খতিয়ে দেখা হবে।
পাঠকের মতামত