
গফুর মিয়া চৌধুরী, উখিয়া:
রাজকীয় বাড়িটি সবেমাত্র নতুন ডিজাইনে করা হয়। বাড়ীটির মালিক বৈধ কোন পেশা কিংবা ব্যবসায় জড়িত নেই। দেখলে যে কেউ ধারণা করতে পারবে, কি পরিমাণ টাকা হলে এত দ্রুত সময়ে এ ধরণের একটি বাড়ি ঘর করা যায়।
এক বছরের মধ্যে কোটি টাকা খরচ করে বিলাসী বাড়িটি করেছেন রফিক উদ্দিন রউফ (৫০)। সে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ৭ ওয়ার্ডের ডেইলপাড়া গ্রামের মৃত বাদশা মিয়া প্রকাশ বাছা মৌলভীর ছেলে ও সাবেক মেম্বার মোরশেদ আলমের ছোট ভাই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সীমান্ত জনপদে একটি শক্তিশালী এক মাদকের সিন্ডিকেট রয়েছে। এই সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রক হলো রফিক উদ্দিন রউফ। তার নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি মিয়ানমার জুড়ে।
তার নেতৃত্বে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা বড় বড় ইয়াবার চালান নিয়ে আসছে বাংলাদেশে। রেজু আমতলী পাহাড়ি জনপদ দিয়ে মিয়ানমার থেকে আসছে রীতিমত ইয়াবার এসব চালান। পরে এসব মাদকের চালান যাচ্ছে ঢাকা – চট্রগ্রামসহ সারাদেশে।
এদিকে আইনশৃংখলা বাহিনী তাকে বার বার ধরার জন্য অভিযান চালালেও আটক করা সম্ভব হচ্ছে না। একাধিক বার তার মাদককের চালান আটক হলেও সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তার নামে মাদকের মামলা থাকলেও জামিনে এসে বরাবরই মাদক সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করে সে।
এলাকাবাসীর দাবী চিহ্নিত মাদক কারবারী রউফকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে স্থায়ী পদক্ষপে না নিলে মাদকের অনুপ্রবেশ বন্ধ হবে না।
এ প্রসঙ্গে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সনজুর মোরশেদ বলেন, সীমান্ত এলাকাকে মাদক নির্মুলে পুলিশ বদ্ধ পরিকর। ইয়াবা গডফাদার রফিক উদ্দিন রউফকে ধরতে পুলিশ তথ্য নিচ্ছে। তাকে যেকোন মুল্যে আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঠকের মতামত