
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
উখিয়ায় এবার প্রান্তিক অঞ্চলে নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিলটপ বালিকা বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় জাফর আলম ও রফিকের নেতৃত্বে রাতের আধাঁরে ৩০/৪০ জনের সংঘবদ্ধ চক্র ঝুঁপড়ি ঘর নির্মাণের অভিযোগ করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে যে কোন মুহুর্তে বড় ধরণের সংঘর্ষের আশংকা করছে স্থানীয়রা।
এদিকে বিদ্যালয়ের জায়গাটি দখল মুক্ত করে ভবনটি নির্মাণের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করার কথা জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি ও উখিয়া কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী।
তিনি আরো জানান, মরহুম মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহীম আজাদের সহযোগিতায় হলদিয়াপালং পালং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ক্লাশপাড়ার মতো একটি পশ্চাৎপদ এলাকায় নারী শিক্ষার উন্নয়নে ২০০১ সালে একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী তুলনায় পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ না থাকায় পাঠদান কার্যক্রম ব্যহৃত হয়। অনেক প্রচেষ্টার পর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের একটি ভবন অনুমোদন হলেও অভিযুক্তরা ভবন নির্মাণ কাজে বাধা দিচ্ছে। এরা বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। এরা দেশের কোন আইন কানুন মানে না।
কয়েকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছে, বিদ্যালয়ের শ্রেণির কক্ষের অভাব। তাই ভবনটি নির্মাণ জরুরী হয়ে পড়েছে। একই কথা জানিয়েছে খোদ অভিযুক্ত জাফরের বড় ভাই আলী হোছন। তিনি বলেন, এটি শুরু থেকে বিদ্যালয়ের জায়গা। অভিযুক্তরা চাঁদাবাজির করার জন্য এসব করছে।
শিক্ষিকা রাশেদা বেগম বলেছেন, দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর একটি ভবন পেয়েছি। এলাকার কিছু দুষ্কৃতিকারী ভবনটি নির্মাণ কাজের শুরুতে বাধা দিচ্ছে। যা নারী শিক্ষার প্রসারে অন্তরায়।
জাহাঙ্গীর আলম নামে স্থানীয় একজন বলেছেন, প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের কোমলমতি ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখার সুবিধার্থে ভবনটি নির্মাণ করা অতীব জরুরী। সম্প্রতি এলাকার দুইজন দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তি ভবনটি নির্মাণে বাধা দেওয়ার কারণে এখন স্কুলের কাঙ্খিত উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। ভবন করার পক্ষে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন। অন্যথায় যে কোন মুহুর্তে বড় ধরণের সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত রফিক বলেন, জায়গাটি কোন ব্যক্তি বা স্কুলের জায়গা নয়। এটা বন বিভাগের জায়গা। আমি এবং জাফর গত ৩০ বছর ধরে পার্টনারশীপে জায়গাটি ভোগ দখলে আছি। তাছাড়া আমাদের ভূমিহীন সার্টিফিকেট আছে।
জবরদখলকারী জাফর আলম বলেন, জায়গাটির মালিকানা সংক্রান্ত কোন দলিল বা কাগজপত্র কারো কাছে নেই। সে হিসাবে আমরা বন বিভাগের জায়গার উপর ঘর নির্মাণ করেছি।
উখিয়া সহকারী বন সংরক্ষক শফিউল আলম বলেন, এটা মূলত: বন বিভাগের জায়গা। তাই সেখানে ইতোমধ্যে বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে। যদি কেউ জবর দখলের চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে বন আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহাম্মদ সঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি জ্ঞাত নন। তবে কেউ শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি উখিয়ার সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজে বাধা দেয়ায় সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষক, পুলিশের হামলাসহ উপজেলা প্রশাসনের ২টি গাড়ী ভাংচুর করে সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতিকারী। এ ঘটনায় ৩টি মামলা রুজু করা হয়।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন :
https://fb.watch/6neRxZtURs/
পাঠকের মতামত