
সিএসবি ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের টিকা দিয়ে আগামী ১৯ জুন থেকে আবারও দেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ সোমবার রাজধানীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস-বিসিপিএস মিলনায়তনে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ফাইজার এবং সিনোফার্মের টিকা মিলিয়ে বর্তমানে ১২ লাখ ডোজের বেশি টিকা হাতে রয়েছে। এসব টিকা আমরা আগামী ১৯ জুন থেকে দেওয়া শুরু করব। যারা নিবন্ধিত আছেন, সে অনুযায়ী টিকা দেওয়া হবে।’
গত ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা দিয়ে দেশে গণটিকাদান শুরু হয়। পরে মার্চ থেকে ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধ রাখে। পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় দেশে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ রয়েছে। ইতোমধ্যে যারা প্রথম ডোজ পেয়েছেন, তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার মত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাও সরকারের হাতে নেই।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, রোববার পর্যন্ত দেশে ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন। টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪২ লাখ ৫০ হাজার ১৬৭ জন।
কোভ্যাক্স থেকে শিগগিরই ১০ লাখের বেশি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসবে বলে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। তবে কবে আসবে তার দিন ঠিক হয়নি। এদিকে সঙ্কট মেটাতে এপ্রিলের শেষে অন্যান্য উৎস থেকে টিকা আনার উদ্যোগ নেয় সরকার। কোভিশিল্ড ছাড়াও আরও চারটি টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা বাংলাদেশ পেয়েছে টিকার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে। আর আর চীনের উপহার হিসেবে দুই দফায় এসেছে সিনোফার্মের তৈরি ১১ লাখ ডোজ টিকা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম জানিয়েছেন, টিকার জন্য ইতোমধ্যে যারা নিবন্ধন করেছেন, তাদেরই ওই দুই ধরনের টিকা দেওয়া হবে। টিকা দেওয়ার সময় এবং তারিখ মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। টিকার জন্য নতুন নিবন্ধন আপাতত বন্ধই থাকবে। পর্যাপ্ত টিকা হাতে এলে তখন আবার নিবন্ধন শুরু হবে।
পাঠকের মতামত