সিএসবি রিপোর্ট ॥
আগামী ২৬ মে কক্সবাজারের উখিয়ায় সীমিত আকারে পালিত হবে মহান বুদ্ধ পূর্ণিমা। এরপর থেকে ২৫৬৫ বুদ্ধবর্ষ গণনা শুরু হবে। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এবং সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উখিয়া সংঘরাজ ভিক্ষু সমিতি এবং বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ।
এক বিবৃতিতে ভিক্ষু সমিতির সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিপ্রিয় থের সিএসবি-কে জানিয়েছেন, সিদ্ধার্থের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ এবং মহামতি বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণ’ একই সাথে হওয়ায় বৌদ্ধ জাতির জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ দিবসটি। তিনটি অবিস্মরণীয় ঘটনার কারণে প্রতি বৎসর এই দিনে মঙ্গল শোভাযাত্রা, রক্তদান কর্মসূচী, অষ্ট-উপকরণসহ সংঘদান ও বৌদ্ধ সম্মেলন থাকে।
দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আসন্ন বুদ্ধ পূর্ণিমা স্ব স্ব বিহারে ও নিজ বাড়ীতে উদযাপনের জন্য সকলের প্রতি মৈত্রীপূর্ণ আহ্বান জানিয়েছেন উখিয়া সংঘরাজ ভিক্ষু সমিতির সভাপতি শ্রীমৎ এস. ধর্মপাল মহাথের।
মহান এই দিবসটি উদযাপনে ভিক্ষু সমিতির কয়েকটি নির্দেশনা :
১। বিহার ও বাড়ীতে ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন। (বিহারে ভিক্ষু-শ্রামণ এবং উপাসক-উপাসিকারা নিজ বাড়ীতে)
২। বুদ্ধপূজা ও বন্দনা। (বিহারে ভিক্ষু-শ্রামণ এবং উপাসক-উপাসিকারা নিজ বাড়ীতে)
৩। নিজ বাড়ীতে বুদ্ধের আসনের সামনে পঞ্চশীল ও অষ্টশীল গ্রহণ। (একজন বৌদ্ধ হিসাবে দিনটিতে অবশ্যই অষ্টশীল গ্রহণের মধ্য দিয়ে পূণ্য সঞ্চয় করবেন)
৪। বিশ্বে মহামারীর প্রকোপ হতে মুক্তির লক্ষ্যে সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও বন্দনা। (বিহারে ভিক্ষু-শ্রামণ এবং উপাসক-উপাসিকারা নিজ বাড়ীতে)
সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখাসহ প্রয়োজন ব্যতীত বাড়ী থেকে বের না হওয়ার অনুরোধ সহকারে সকলের নিরাপদ ও সুস্থ জীবন কামনা করেছেন নেতৃবৃন্দ।
পাঠকের মতামত