
পলাশ বড়ুয়া:
আপাদমস্তক শিল্পীসত্তা তিনি। যার ধ্যান-জ্ঞানে এবং সৃষ্ট প্রতিটি কর্মে লুকিয়ে থাকতো সৃজনশীলতা। অনেকবারই দিয়েছেন নান্দনিক সব তুলির আঁচড়। সুযোগ পেলেই বসে পড়তেন রং-তুলি নিয়ে। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ছবিও যেন তার মাথায় স্ক্যাচ করা ছিল। যা মুহুর্তেই এঁকেছেন। সেসব এখন অতীত।
বলছিলাম ফরিদ আহমেদ চৌধুরীর কথা। যিনি কেবল পেশাদ্বারিত্বে নয়, চারুশিল্পের বিকাশেও অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।
তার ছেলেরা সমবয়সী হলেও সখ্যতা বেশি ছিল চৌধুরী আর্ট গ্যালারীর প্রতিষ্ঠাতা ফরিদ আর্টের সাথে। মাঝে মধ্যে সহযোগিতার জন্য আসলে বলতেন পলাশ সাহেব আমি একটা সিনেমার কাহিনী লিখেছি এটা একটু নায়ক রাজ্জাক সাহেবের রাজলক্ষ্মী প্রোডাকশনে পাঠাব। আবার কখনো গানের কথা লিখে বলতেন এটা এন্ডু কিশোর কিংবা কুমার বিশ্বজিৎ এর কাছে পাঠাব। আমি নেট দুনিয়ায় গেটে ই-মেইল ঠিকানা পেলে সেন্ড করতাম। না হয় ডাকযোগে প্রেরণের পরামর্শ দিতাম।
তার জীবনের শেষের দিকে ফেসবুক ব্যবহার বিধি সম্পর্কে জানতেও ছুটে আসতেন কখনো কখনো।
এছাড়াও মানুষটি ছিলেন বন্ধু বাৎসল্য। প্রেমিক মানুষ। সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব। দেখা হলেই হাত বাড়িয়ে বলতেন শুভেচ্ছা। কখনো কখনো গান গেয়ে শুনাতেন ‘অ পলাশ…….. অ শিমুল’। আবার কখনো পুরোনো দিনের হিন্দি, উর্দু গান। কুশলাদি সেরে হয়ত: কখনো চা-নাস্তার অফার করতেন। আবার কখনো আমাকে সুযোগ দিতেন।
প্রিয় মানুষটি দুই বৎসর পূর্বে আজকের ইন্তেকাল করেছেন। অর্থাৎ আজ তার ২য় মৃত্যুবার্ষিকী। আমি তার আত্মার শান্তি, সদ্গতি কামনা করছি। ইতোপূর্বে ফরিদ আহমদ চৌধুরীর সৃষ্টি সমূহের প্রদর্শনী হয়েছে। সম্প্রতি বন্ধু জসিম আজাদের সম্পাদনায় তাকে নিয়ে প্রকাশনা বের হচ্ছে জেনে পুলকিত হয়েছি। একজন শিল্পিকে তার কর্মের মাঝে বাঁচিয়ে রাখার এই প্রয়াসকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।
লেখক : সাধারণ সম্পাদক, উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাব। # 01817350135, palashbr@gmail.com
পাঠকের মতামত