প্রকাশিত: ২১/০২/২০২১ ৮:১৫ পূর্বাহ্ণ

 

এম.এ আজিজ রাসেল:
ইয়াবাসহ নানা মাদক পরিবহনের কাজে দেশের অভিজাত নামধারী যাত্রী পরিবহনের বাসগুলো হয়ে উঠেছে নিরাপদ মাধ্যম। বেশি আয়ের লোভে অভিজাত পরিবহনের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা ইয়াবা চক্রে জড়িয়ে পড়ছে। ইয়াবা পরিবহনের দায়ে এরমধ্যে বেশ কয়েকটি অভিজাত পরিবহন আটক হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে।

টেকনাফ থেকে পাকস্থলিতে করে ইয়াবা আনছিলেন মকবুল—রত্না দম্পতি। ঢাকায় আসতে ব্যবহার করেন বিলাসবহুল এসি বাস। সম্প্রতি তাদের পেটে সাড়ে ৫ হাজার ইয়াবা পেয়েছেন গোয়েন্দারা। শুধু যাত্রী নয়, এ কাজে বাস কর্মীদের সংশ্লিষ্টতাও পেয়েছে ডিবি। গ্রিন লাইনের একটি বাসের এসি ভেতর মিলেছে ২৫ হাজার ইয়াবার চালান।

টেকনাফ থেকে পাকস্থলিতে করে ইয়াবা আনছেন এক দম্পতি। এই তথ্যে আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডে যান গোয়েন্দারা। পরে বাস থেকেই আটক হন রত্না বেগম ও মকবুল বেপারী। পেটে ইয়াবা বহনের কথা স্বীকারও করে তারা।

পরে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে করা এক্সরেতেও মেলে এর সত্যতা। মকবুলের ৩ আর রত্নার পেটে মেলে আড়াই হাজার ইয়াবা।
তারা বলছে, এই চালান বুঝিয়ে দিলে ৫৫ হাজার টাকা পেতেন তারা। মোবাইল ফোনেই হয় সব যোগাযোগ। লেনদেনও হয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ে।
টেকনাফ থেকে শুধু বাসযাত্রী নয়, ইয়াবা আনছে স্টাফরাও। এমন তথ্যে ফকিরাপুল কাউন্টারের সামনে গ্রীন লাইনের একটি বাসে চলানো হয় তল্লাসি। পরে উদ্ধার হয় এসির ভেতর লুকিয়ে রাখা ২৫ হাজার ইয়াবার চালান। আটক হন বাসটির এক কর্মী।

বিলাসবহুল বাসে ইয়াবার চালান আসছে, কী করছে কর্তৃপক্ষ?

গোয়েন্দারা বলছেন, অভিনব কায়দায় আনা চালান একর পর এক আটক হলেও তা বন্ধ করা যাচ্ছে না। মাদক নিয়ন্ত্রণে জন—সাধারণকে যুক্ত করা গেলে পরিস্থিতির পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
গত এক সপ্তাহে ৩ চালানে সাড়ে ৫৩ হাজার ইয়াবাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি গুলশান বিভাগ।

এদিকে গ্রীন লাইন পরিবহনের এসিতে কিভাবে ইয়াবা পাচার হচ্ছে এমন অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রীন লাইন পরিবহনের কক্সবাজারের ইনচার্জ সুলতানের তত্ত্বাবধানে থাকে সব গাড়ি। তাদের গ্যারেজ থেকেই বাসের এসিসহ বিভিন্ন স্থানে বিশেষ কায়দায় ইয়াবা লুকানো হয়। ইনচার্জের অজান্তে কখনো ইয়াবা লুকানো সম্ভব না বলে জানান ঢাকায় আটক ওই দুইজন যাত্রী। ইয়াবা সিন্ডিকেটের সাথে সুলতানের সখ্যতা রয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।

অভিযোগের বিষয়ে গ্রীন লাইন পরিবহনের কক্সবাজারের ইনচাজ সুলতান বলেন, আমাদের গাড়িতে ইয়াবা পেলে তা তদন্ত হবে। তদন্তে যা প্রমাণিত হয় তাই হবে।

গ্রীন লাইন পরিবহনের সিইও শামসুদ্দিন আহমদে বলেন, নিরাপদ ও সুন্দরভাবে যেন এই রুটকে ব্যবহার করা যায়। মাদক নিয়ে যেন ভবিষ্যতে কোন বাজে ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে সতর্ক থাকবে কতৃর্পক্ষ।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, পরিবহনগুলোর উপর নজরদারি বাড়ানো হবে। তদন্তে কর্মকর্তা—কর্মচারিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ মিললে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মতামত

  • উখিয়ায় অবৈধভাবে পাহাড় কাটার দায়ে ডাম্পট্রাক জব্দ
  • অনলাইন জুয়ায় অংশ নেওয়ায় ১৫ দিনের কারাদণ্ড
  • কক্সবাজারে ৩২ জন কনস্টেবল নিয়োগ, আবেগাপ্লুত নিয়োগপ্রাপ্তরা
  • চকরিয়ায় ব্যবসার বিরোধ নিয়ে ছুরিকাঘাতে আবারও যুবক নিহত
  • রোহিঙ্গা যুবকদের মাঝে সুরক্ষা বার্তা প্রচারের লক্ষ্যে ‘মুক্তি’র ফুটবল ম্যাচ আয়োজন
  • কক্সবাজারে দিনব্যাপী সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
  • কক্সবাজার সৈকতে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিলো আমেরিকান সেনা ও বিমানবাহিনী
  • রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন নরওয়ের প্রতিনিধিদল
  • টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই ডাকাত গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি, একজন গুলিবিদ্ধ
  • চকরিয়ায় টমটমের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত
  • রোহিঙ্গা যুবকদের মাঝে সুরক্ষা বার্তা প্রচারের লক্ষ্যে 'মুক্তি'র ফুটবল ম্যাচ আয়োজন

    রোহিঙ্গা যুবকদের মাঝে সুরক্ষা বার্তা প্রচারের লক্ষ্যে ‘মুক্তি’র ফুটবল ম্যাচ আয়োজন

      নিজস্ব প্রতিবেদক : বেসরকারি সংস্থা মুক্তি কক্সবাজারের উদ্যোগে ‘অ্যাডোলেসেন্ট অ্যান্ড ইয়ুথ প্রজেক্ট’-এর আওতায় উখিয়ার ...
    কক্সবাজারে দিনব্যাপী সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

    দেশটাকে সুন্দর ভাবে সাজাতে হলে আমাদের সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে : সামছুদ্দৌজা নয়নকক্সবাজারে দিনব্যাপী সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

      পলাশ বড়ুয়া:: উপকূলীয় অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও চ্যালেঞ্জ এবং ফ্যাক্ট চেকিং, স্টোরিটেলিং, প্রান্তিক ও ...
    কক্সবাজার সৈকতে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিলো আমেরিকান সেনা ও বিমানবাহিনী

    কক্সবাজার সৈকতে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিলো আমেরিকান সেনা ও বিমানবাহিনী

      নিজস্ব প্রতিবেদক,কক্সবাজার : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে আমেরিকান সেনা ও ...