
আলমগীর মাহমুদ:
ঝিলংঝা চৌধুরীপাড়া । নাজিরমাষ্টারের নুতন বাড়ির শুভসূচনায় কোরানখানির আয়োজন। পুরো এলাকাটা –নয় গ্রাম, নয় শহর টাইপ। হালসাং কক্সবাজার পৌরসভা।
প্রাতঃরাশের দাওয়াতে সকালবেলা। বাড়ির দু’তলায় কোরানখানি। ঘরোয়াদের বাইরে হুজুর ছাড়া মেহমান একজনমাত্র।
দালানঘেষে বেশ ক’টি নয়, এ ক-টি সবুজ গাছ। দালানের গায়েই জড়িয়ে একেবারে। গেরছ সিমেন্টের গায়ে লিপিষ্ঠিক আইলেনারের বেশে সাঁজিয়েছে দালান, টাইলসের উপাদানে -মনের ছোঁয়ায়…!
ঘুরে দেখাচ্ছিল, মনের মানুষকে প্রাণের ভান্ডু উজাড়ের আবহে। ঠিক এই সময়ে দেখামেলে জোড়ার ঘুঘু, আছে বসে মমতা মাখায়ে মগডালে , উদিত সূর্যের সাঁচ্চা কিরণে । — প্রকৃতির প্রকৃত রূপের কপোল তলে ‘কাল তিলের সৌন্দর্যে। ‘সোনার হাতে সোনার কাঁকন ‘ কে কার অলংকার—পরখহীন সুন্দরে!
শহরে ঘুঘু! বিরল! তাও আবার একজন নীরব অন্যটি বন্ধ থাইগ্লাসে বারবার উড়ে এসে টুকরের পর টুকর। পুরো বিষয়টা বেশ নাড়াল মোরে! ভাবাল অন্য পাখি আয়নায় ছবি দেখলে টুকরে। ঘুঘুতো গাম্ভীর্যের উত্তাওরাধিকার লালন করা , বসাও আয়নায় নিজের ছবি দেখা যায় না এমন দৃষ্টিসীমানায়।
থাইগ্লাস ঘেসে দাঁড়িয়ে গেরছসহ । গেরস্তের আক্ষেপ! এ দৃশ্যতো অনেক বছরেও জ্যোতিতে ধরা দেয়নি! আসেনি নজরেও! বাড়ি ঢুকতে মরিয়া কি কারণ!
…… গ্লাস খুলে দেই!
……না। খুললেই সে ভেতর দেখবে, ভয় পাবে, উড়াল দিবে। ‘সুন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে নেই’
টুকরের পর টুকরে! অবশেষে জোড়ের ঘুঘু বসে উল্টো ঘুরে! জোড় আছে আছে, নাই নাই ভাবে —–.
গেরছ,…এ কি রে ভাই! পশুপাখির ঘরত অ ইঁন আছে! (পশুপাখিদের মাঝেও এইসব আছে?)
… রসিয়ে কইলাম… অভিমাণ ! না ,আত্নহত্যা! বুঝা মুশকিলরে ভাই!
লেখকঃ বিভাগীয় প্রধান।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, উখিয়া কলেজ কক্সবাজার।
alamgir83cox@gmail. com
পাঠকের মতামত