
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চতুর্থ ধাপে প্রথম দিন ৩৭টি বাসে করে ২০১৪জন রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দ্যেশে রওয়ানা হয়েছে আজ।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে ২১টি বাসে ১১৫২ জন রোহিঙ্গা। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে ১৬টি বাসে আরো ৮৬২জন রোহিঙ্গা উখিয়া কলেজের মাঠ থেকে রওয়ানা দেয়।
এ সময় তাদের মালামাল বোঝায় ১১টি কার্গো সার্ভিস ২টি এ্যাম্বুলেন্সসহ ৬টি সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়ি ছিল।
এর আগে শুক্রবার ও শনিবার স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে বাসে করে ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে, রোববার সকাল এবং দুপুরে বাসে ওঠা নিবন্ধিত রোহিঙ্গারা সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের ট্রানজিট ক্যাম্পে পৌঁছাবেন।
সেখানে নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় সোমবার তাদের জাহাজে তোলা হবে। ১৫ ফেব্রুয়ারি তারা ভাসানচরে পৌঁছবেন।
এ বিষয়ে ভাসানচর প্রকল্পের (আশ্রয়ণ প্রকল্প-৩) উপ-প্রকল্পের পরিচালক কমান্ডার এম আনোয়ারুল কবির জানান, চতুর্থ ধাপে দুই হাজার মতো রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশে উখিয়া থেকে চট্টগ্রামে আনা হয়। এবার ৩-৪ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে স্বেচ্ছায় যেতে রাজি হয়েছেন।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দৌজা জানান, চতুর্থ দফায় রোববার ৩৭টি বাস সকাল এবং দুপুরে নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশ্যে উখিয়া ছেড়েছেন। সোমবার আরো ২ হাজারের মতো রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবেন।
এর আগে, গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে পৌঁছান। সর্বশেষ গত ২৯ জানুয়ারি সকালে ১ হাজার ৭৭৮ রোহিঙ্গা নতুন করে ভাসানচরে পৌঁছান। এ ছাড়া অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে গত মে মাসে ভাসানচরে নিয়ে যায় সরকার, তারাও সেখানে রয়েছেন।
পাঠকের মতামত