
ইমরান আল মাহমুদঃ
জোয়ার ভাটার উয়র চলে আঁরার জীবন। পন্না পড়িবার সুযোগ খুবই কম। হানা পিনা এক সপ্তাল্লায় আনি। তাও ছোট ডিঙি নৌকা নিয়ে ১ঘন্টা নদী সাগরে ভেসে।
জীবনের কিছু অনুভূতি শেয়ার করছিলেন কক্সবাজারের মহেশখালী সোনাদিয়া দ্বীপের ৪৫ বছর বয়সী শাহ আলম(ছদ্মনাম)।
সোনাদিয়া দ্বীপের একটি অংশ যেখানে গড়ে উঠেছে শতাধিক ঝুপড়ি বসতি। এখানকার সাধারণ মানুষ কেউই তেমন শিক্ষার মুখ দেখেনি। দেখেনি পাঠ্যবইয়ের বাংলা ভাষা। খুবই করুণ অবস্থায় দিনাতিপাত করছে বলে জানান তারা। তবে অল্প কয়েকজন যাদের আত্নীয় স্বজন মহেশখালী, ঘটিভাঙ্গা রয়েছে তারা ওখানে থেকে চতুর্থ পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করতে যায় বলে জানান দ্বীপের বাসিন্দারা।
অবহেলিত মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিবেদকের সাথে ঐ দ্বীপে দেখা মিললো স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিকের সাথে। তিনিও সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন দ্বীপের বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নয়নে।
দ্বীপের বৃদ্ধদের মতে, প্রায় দুইশত বছর আগে থেকেই এখানে বসতি গড়ে উঠেছে। যাদের উত্তরসূরী হিসেবে বর্তমান প্রজন্ম বেঁচে আছে বলে জানান তারা।
ফিরে আসার সময় কথা হলো ঘটিভাঙ্গার পরিবার পরিকল্পনার এক মহিলার সাথে। দ্বীপবাসীর দুঃখ দুর্দশায় সে নিত্যদিনের সাথী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে বলে জানান।
পাঠকের মতামত