অনলাইন ডেস্ক:
বাণিজ্যবান্ধব আমদানি নীতি ২০২১-২৪ চূড়ান্ত করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। নতুন এ নীতিতে থাকছে রপ্তানি বাণিজ্য বেগবান করার কৌশল। নীতিমালায় বেশি জোর দেওয়া হয়েছে ইজ অব ডুয়িং বিজনেসে। শিগগিরই আদেশটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে। খবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রের।
করোনাকালীন সংকটের মধ্যে দেশের রপ্তানি ও রেমিট্যান্স শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘ চূড়ান্তভাবে এলডিসি থেকে বাংলাদেশকে বেরিয়ে যেতে সুপারিশ করতে যাচ্ছে। এ অবস্থায় আমদানি আদেশ এমনভাবে করা হয়েছে যেন রপ্তানি বৃদ্ধি পায়।
প্রতিবছরের পরিবর্তে পাঁচ বছর অন্তর নবায়নের সুযোগ রেখে আমদানি রেজিস্ট্রেশন ফি কমানো হয়েছে। ট্র্যাডিশনাল পদ্ধতি ঋণপত্রের (এলসি) পাশাপাশি ক্রেতা-বিক্রেতার চুক্তিপত্রের ভিত্তিতে পণ্য আমদানি করা যাবে। নমুনা আমদানির ক্ষেত্রে টাকার অঙ্ক ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার ইউএস ডলার বা সাড়ে ৮ লাখ টাকা করা হয়েছে। বন্ডেড ওয়্যারহাউস সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধা পাবেন পোশাক রপ্তানিকারকরা। তবে ক্যাসিনো বা জুয়াখেলার পণ্যসামগ্রী আমদানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে নতুন নীতি-আদেশে।
নতুন আমদানি আদেশ কার্যকর হলে করোনাকালীন দেশের রপ্তানি পণ্যের কাঁচামাল ও শিল্পের মেশিনারিজ আমদানি সহজ হবে। এতে উৎপাদনমুখী গার্মেন্টস পণ্যের কাঁচামাল আমদানি বাড়লে রপ্তানিও বাড়বে। গতিশীল হবে অর্থনীতি এবং এ খাতের বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য সহজীকরণ বা ইজ অব ডুয়িং বিজনেস র্যাংকিংয়ে ভালো করতে বাংলাদেশের ওপর বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নির্দেশ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ওয়ানস্টপ সার্ভিস কার্যকর করে অর্ধশতাধিক সেবা নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছে। কোম্পানি আইন সংশোধন করে একক ব্যক্তির কোম্পানি গঠনের সুযোগ থাকছে। এ ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিডার পক্ষ থেকে আরও বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এসব উদ্যোগ স্বল্পোন্নত (এলডিসি) থেকে উত্তরণ ঘটাতে সহায়তা করবে।
বর্তমান নীতিমালায় একজন আমদানিকারককে প্রতিবছর আমদানি নিবন্ধন সার্টিফিকেট গ্রহণ করতে হয়। কিন্তু নতুন নীতিমালায় এখন থেকে প্রতিবছর নয় বরং পাঁচ বছর পর একবার নবায়নের সুযোগ রাখা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে নিবন্ধন ফি কমানো হয়েছে।
এ ছাড়া এলসির পাশাপাশি ক্রেতা-বিক্রেতা চুক্তির মাধ্যমে পণ্য আমদানি করতে পারবেন। এর ফলে যে কেউ সহজেই বিদেশ থেকে পণ্যসামগ্রী আমদানির সুযোগ নিতে পারবেন। বিশেষ করে গার্মেন্টস খাতের ব্যবসায়ীদের নমুনা আমদানি সহজ করা হয়েছে। নতুন আমদানি নীতিতে বিদ্যমান নীতিমালার কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংযোজন-বিয়োজন বা সংশোধন করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- বাণিজ্য সহজীকরণের লক্ষ্যে আমদানিকারক, রপ্তানিকারক এবং ইনডেন্টরদের নিবন্ধন ফি ও নবায়ন ফি হ্রাস করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত