প্রকাশিত: ৩০/০৮/২০২০ ৫:২৩ অপরাহ্ণ , আপডেট: ৩০/০৮/২০২০ ৫:২৪ অপরাহ্ণ
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দু’গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত-১২

# তিনদিনে ১০ রোহিঙ্গা অপহৃত, মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত এসেছে ৬ জন।

# অপহরণের ঘটনায় ১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা।

পলাশ বড়ুয়া ॥

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাঁদাবাজি, অপহরণ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে দফায়-দফায় সংঘর্ষে ১২জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে মোহাম্মদ ইউছুফ ও ছলিম উল্লাহ’র নাম পাওয়া গেলেও অন্যান্যদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতরা ক্যাম্প সংলগ্ন এনজিও পরিচালিত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনার পর থেকে রোহিঙ্গাদের কেউ কেউ অন্যস্থানে আশ্রয় নিতেও দেখা গেছে। দুপুর ২টার দিকে ক্যাম্প প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও দু’পক্ষের মধ্যে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে।

রোববার সকাল ১১টার দিকে কুতুপালং রেজিষ্ট্রার্ড ও আন-রেজিষ্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝামাঝি স্থানে দুই ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। এর আগে নুর আলম নামে এক রোহিঙ্গাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় প্রথমে কক্সবাজার পরে চট্টগ্রাম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সে কুতুপালং টু-ইস্ট ক্যাম্পের আহমদ হোসেনের ছেলে। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে সূত্র জানিয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, আল ইয়াকিনের শীর্ষ নেতা মুন্না গ্রুপ গত তিন দিনে ১০জন রোহিঙ্গাকে অপহরণ করেছে। তৎমধ্যে মুক্তিপণ দিয়ে রোববার সকালে ফিরে এসেছে ৬জন। এরা হলো কুতুপালং রেজি: ক্যাম্পের বি ব্লকের রহমত উল্লাহ, ডি ব্লকের মৌলভী জিয়াবুর রহমান, ছৈয়দ আকবর, এফ ব্লকের আনিস উল্লাহ ও এজাহার, জি ব্লকের মো: জসিম। বাকী ৪জন এখনো তাদের হাতে জিম্মিদশায় রয়েছে।

সূত্রে আরো জানা গেছে ২৬ আগস্ট রাতে আল-ইয়াকিন গ্রুপের নেতা নেছার আহমদের ছেলে সদ্য জেল ফেরত আবুল কালামকে অপহরণের জের ধরে একের পর এক সংঘর্ষ ও অপহরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আবুল কালামের স্ত্রী নুর জাহান বেগম বাদী হয়ে শনিবার রাতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আবদুল হামিদ সহ ১১জনকে আসামী করে উখিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
দু'গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্যস্থানে আশ্রয় নিচ্ছে সাধারণ রোহিঙ্গারা।

মো: আমির নামে এক রোহিঙ্গা জানান, গত ৫ দিন ধরে অপহরণ, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রেজিষ্টার্ড ক্যাম্পের ই-ব্লকের মোহাম্মদ ফরিদ ও এফ ব্লকের নুর হাশিম, মাস্টার মুন্না এবং আনরেজিষ্টার্ড ক্যাম্পের আল-ইয়াকিন নেতা রফিক উদ্দিন, হাফেজ জাবেদ ও সাইফুলের মধ্যে অন্ত:কোন্দল শুরু হয়। এরপর থেকে ক্যাম্পের পরিবেশ অশান্ত হয়ে উঠে।

কুতুপালং আন-রেজিষ্টার্ড ক্যাম্পের মাঝি নুরুল বশর ঘটনার সত্যতার স্বীকার করে বলেন, সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় ১০-১২ জন আহত হওয়ার খবর শুনেছি। ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পে মোবাইল নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে ঠিক ভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।

এ প্রসঙ্গে কুতুপালং রেজি: ক্যাম্পে নিয়োজিত এপিবিএন এর পরিদর্শক মো: সালেহ আহমদ পাটান বলেন, ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের মাঝে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটে থাকে। গোলাগুলির বিষয়টি সঠিক নয়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের রয়েছে বলে তিনি জানান।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মর্জিনা আকতার এর ফোনে যোগাযোগ করা হলে রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ মো: খলিলুর রহমান খাঁন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ছুটিতে আছি। সহকারী পরিচালক আরিফের সাথে যোগাযোগ করার কথা বলেন। কিন্তু আরিফ ফোন রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

পাঠকের মতামত

উখিয়ায়  শিশু ও নারী অধিকার সুরক্ষায় সাংবাদিকদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

উখিয়ায়  শিশু ও নারী অধিকার সুরক্ষায় সাংবাদিকদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

নিজস্ব প্রতিবেদক:: কক্সবাজারের  উখিয়ায় শিশু ও নারী অধিকার সুরক্ষায় সাংবাদিকদের ভূমিকা বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত ...
মানবতার জন্য উখিয়াবাসী দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও সুনাম কুড়িয়েছেন : বিপিজেএফ

উখিয়া ক্ষুদ্র কুটির শিল্প ও বস্ত্র মেলা পরিদর্শনকালে.. মানবতার জন্য উখিয়াবাসী দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও সুনাম কুড়িয়েছেন : বিপিজেএফ

  নিজস্ব প্রতিবেদক:: বাংলাদেশ পেশাদার সাংবাদিক ফোরাম (বিপিজেএফ) কর্তৃক আয়োজিত উখিয়ায় মাসব্যাপী ক্ষুদ্র কুটির শিল্প ...
সিএ বাংলাদেশ কাপ গলফ টুর্নামেন্ট ২০২৫ সফলভাবে কক্সবাজারে সম্পন্ন

সিএ বাংলাদেশ কাপ গলফ টুর্নামেন্ট ২০২৫ সফলভাবে কক্সবাজারে সম্পন্ন

  সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:: ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) এর সদস্যদের দ্বারা গঠিত সিএ ...
ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্টি এবং রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় উখিয়া সিবিও-এনজিও এলায়েন্সের ৭ দফা দাবী

ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্টি এবং রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় উখিয়া সিবিও-এনজিও এলায়েন্সের ৭ দফা দাবী

নিজস্ব প্রতিবেদক:: উখিয়া-টেকনাফে ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয় জনগোষ্ঠি এবং রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় সকল পর্যায়ে স্থানীয় সিবিও-এনজিও অংশগ্রহণ ...