অনলাইন ডেস্ক:
করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকেই চীন থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য নিতে বেগ পেতে হয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির অভ্যন্তরীণ কয়েকটি বৈঠকের রেকর্ডিং থেকে জানা গেছে এই তথ্য। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বার্তা সংস্থার অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিষয়টি।
এপির হাতে আসা ওই রেকর্ডিংয়ে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হওয়া বৈঠকগুলোতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা ভাইরাসের বিস্তৃতি এবং বাকি বিশ্বের জন্য এর ঝুঁকি কতটুকু, তা নিরূপণে বেইজিংয়ের কাছ থেকে পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছিলেন।
এরও দুই সপ্তাহ পর চীন নতুন করোনাভাইরাস যে ছোঁয়াচে, তা প্রথম জানিয়েছিল। পরে ৩০ জানুয়ারি ডব্লিউএইচও ভাইরাস বিষয়ে সতর্ক করে বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে। ‘আমরা খুবই স্বল্প পরিমাণ তথ্য পাচ্ছি। সঠিক পরিকল্পনার জন্য এটা যথেষ্ট নয়’-বৈঠকের একটিতে ডব্লিউএইচওর কোভিড-১৯ বিষয়ক কৌশলের নেতৃত্বে থাকা মার্কিন এপিডেমিওলজিস্ট মারিয়া ভ্যান কেরখোভকে এমনটাই বলতে শোনা গেছে।
অন্য একটি বৈঠকে চীনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা গডেন গ্যালি বলেছেন, ‘আমরা এমন একটি পর্যায়ে আছি, যেখানে চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভিতে কোনো তথ্য যাওয়ার কেবল ১৫ মিনিট আগে আমাদের সেটি জানায়।’
চীনের তিনটি সরকারি ল্যাবরেটরি ভাইরাসের বংশগতি বৈশিষ্ট্য বের করারও প্রায় এক সপ্তাহ পর বেইজিং ভাইরাসের জেনেটিক ম্যাপ প্রকাশ করে বলে এই প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত