
রফিক মাহমুদ,উখিয়া:
করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ এর কারনে ক্ষতি গ্রস্থ উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ৪, ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের ১২০ টি হতদরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা, (স্কাস)। উখিয়া উপজেলা ও রাজাপালং ইউনিয়নের সাথে স্বমন্বয় রেখে উক্ত দরিদ্র পরিবার গুলোর কাছে ত্রাণ সামগ্রী বিতরন করা হয়।
গত (৩ মে) বুধবার সকাল ১০ টায় উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের মাঠে, ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগীতায় উক্ত ত্রাণ সামগ্রী বিতরন করা হয়।
ত্রাণ বিতরনের সময় উপস্তিত ছিলেন, উপজেলা টেক অফিসার মোহাম্মদ মাহাদি হাসান, রাজাপালং ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টারের আইটি কর্মকর্তা আব্দুল হক, স্কাসের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, প্রোটেশন স্বমন্বয়ক রোনাল্ড চাকমা, সিনিয়র সাইকোলজিষ্ট তৌহিদুল মোস্তফা সহ বিভিন্ন কর্মকর্তা ও সহয়কগণ।
স্কাসের পক্ষে ১২০ টি হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদী বিতরন করে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্যে উক্ত পরিবার গুলো শুকরিয়া করেন।
এই ছাড়াও করোনাভাইরাস চলাকালিন সময়ে স্কাসের চেয়ারপার্সন জেসমিন প্রেমা উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিগণের সাথে স্বমন্বয় রেখে গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সেবামূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনাভাইরাসের প্রভাব বৃদ্ধির হওয়ার শুরু থেকেই কোভিড-১৯ প্রতিরোধে উখিয়া উপজেলা সহ কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় সচেতনামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।
স্কাস চেয়ারপার্সন জেসমিন প্রেমা জানান, কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস শুরু হওয়ার পর থেকে আমি কক্সবাজারের মানুষের পাশে থেকে বিশেষ করে উখিয়ার অবেহেলিত জনগোষ্টীর সেবা করে যাচ্ছি। যে কোন দূর্যোগকালিন সময়ে মানুষের পাশে থেকে সেবা করতে পারলে আল্লাহ নিজেই খুশি হন। আমি দীর্ঘ ২৭/২৮ বছর ধরে মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। স্কাসের চেয়ারপার্সন হয়েও ঘরে বসে থাকিনি। যেখানে মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে সেখানে ছুটে গিয়েছি, সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। তিনি যেন তার সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারেন তার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন। স্কাসের পক্ষ থেকে উখিয়ার জনগোষ্টীর জন্য উপজেলা প্রশাসনকে স্বমন্বয় করে ত্রাণ বিতরন অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে তিনি উখিয়ায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন বলে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
পাঠকের মতামত