নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে কক্সবাজার জেলায় আবারও দোকান, শপিংমল বন্ধ রাখার নিদের্শ প্রদান করেছে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৪টা থেকে এ নিদের্শ কার্যকর হবে।
আজ রোববার বিকেলে এ সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কক্সবাজারে গত ৫ মে করোনা ভাইরাস এর বিস্তার প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে জেলার অভ্যন্তরীণ দোকানপাট/শপিংমল শর্ত সাপেক্ষে চালুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
কিন্তু গত ৫ দিন মার্কেট ও শপিংমল সমূহ সরেজমিন পরিদর্শনে প্রতীয়মান হয় যে, মার্কেট ও শপিং মলসমূহে মানুষের উপচে পড়া ভীড়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অসচেতনতা এবং আগত ক্রেতা/বিক্রেতাগণ কর্তৃক সরকার প্রদত্ত শর্ত মেনে চলার বিষয়ে সম্পূর্ণ অবহেলা প্রদর্শনের কারণে বর্ণিত শর্তসমূত যথাযথভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে না। ফলে এ জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার মারাত্মক আকার ধারণ করছে। ‘এমতাবস্থায় জনসাধারণ তথা কক্সবাজারবাসীর সার্বিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং মৃত্যু ঝুঁকির বিষয় বিবেচনা করে জনপ্রতিনিধি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধি, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি এর প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনাপূর্বক পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত জেলা সদরসহ সকল উপজেলা পর্যায়ে দোকানপাট/শপিংমলসমূহ বন্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
এ আদেশ সোমবার (১৮ মে) বিকাল ৪টা হতে কার্যকর হবে।’ তবে গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট জরুরী সেবা সার্বক্ষনিক খোলা থাকবে। এছাড়াও নিত্য দ্রব্যাদির দোকান, কাঁচাবাজার ও অন্যান্য সরকার ঘোষিত পরিসেবাসমূহ পূর্বে জারীকৃত নির্দেশনানুযায়ী বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। জরুরী কারণ ব্যতিত রিক্সা/অটোরিক্সা/সিএনজি/মোটরসাইকেলসহ যন্ত্রচালিত সকল যাত্রী পরিবহনের কাজে নিয়োজিত যানবাহন চলাচল বিকাল ৪ টার পর সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, পণ্য পরিবহন কাজে নিয়োজিত যানবাহন চলাচলে এ আদেশের আওতামুক্ত থাকবে সকল জনসাধারণ ও ক্রেতা,বিক্রেতা/ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে উপরোক্ত নির্দেশনা মেনে চলার জন্য বলা হলো। অন্যথায় এ আদেশ ভঙ্গকারী সংশ্লি ব্যক্তি/ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাঠকের মতামত