প্রকাশিত: ১৪/০৫/২০২০ ৫:২৫ অপরাহ্ণ , আপডেট: ১৪/০৫/২০২০ ৫:২৮ অপরাহ্ণ

রফিক মাহমুদ:
উখিয়ায় চাঞ্চল্যকর মোহাম্মদ আলমগীর প্রকাশ রুবেল (২৫) হত্যাকাণ্ডের দুই সপ্তাহ পার হলেও পুলিশ কোন আসামীকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। প্রকাশ্যে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি কিলিং মিশনে অংশগ্রহণকারী ঘাতকরা উল্টো নিহত পরিবারকে প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত চিহ্নিত কোন আসামি এখনো পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার না হওয়ায় সচেতন গ্রামবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের খালকাচা গ্রামের ফজল করিমের পুত্র মোঃ আলমগীর প্রকাশ রুবেল পেশায় একজন দর্জি। মালভিটা পাড়া রাস্তার মাথা শিউলি প্লাজা ভবনের রিয়াদ টেইলার্স নামক দোকানে তিনি চাকরি রত ছিলেন শান্তশিষ্ট যুবক রুবেল।

থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিল বিকেলে নিজ কর্মস্হল দোকানে কাজ করা অবস্থায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিত ভাবে ধারালো ছুরিকাঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করে রুবেলকে। এ ব্যাপারে বড় ভাই মোহাম্মদ সোনা আলী বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আসামিরা হচ্ছে একই ইউনিয়নের মধ্যম সিকদার বিল গ্রামের আবুল হাশেমের পুত্র নুরুল ইসলাম মৃত মফিজুর রহমানের পুত্র আব্দুল আলিম ও খোরশেদ আলম। যার মামলা নম্বর ১২ তারিখ ৬ মে ২০২০। ধারা ৩০২ ও ৩৪ পেনাল কোড। কি কারনে রুবেলকে হত্যা করা হয়েছে এর সুনিদিষ্ট তথ্য জানা না গেলেও প্রাথমিক ভাবে মহিলা সংক্রান্ত বিষয় বার বার উঠে আসছে।

নিহতের বড় ভাই সোনা আলী সাংবাদিকদের জানান আমার ভাই রুবেল প্রতিদিনের ন্যায় টেলারিং কাজে দোকানে ব্যস্ত ছিল। ওই সময় পরিকল্পিতভাবে নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে অন্যান্য সন্ত্রাসীরা সুপরিকল্পীত ভাবে দোকানে ঢুকে ধারালো ছুরিকাঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে আমার ছোট ভাইকে। তিনি আরো বলেন প্রথমে তাকে দোকান থেকে বের করে হত্যার পরিকল্পনা নিয়েছিল। ঘটনা বুঝতে পেরে দোকান থেকে বের হয়নি। তখন সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে দোকানে ঢুকে উপর্যুপরি চুরিকাঘাত ও মারধর করে।

এদিকে রিয়াদ টেইলার্সের মালিক মোহাম্মদ আয়াজ জানান, রুবেল দোকানে দর্জি কাজে ব্যস্ত থাকা সময় প্রথমে আব্দুল আলিম এসে কথা আছে বলে বের করতে চেয়েছিল। তিনি বের না হওয়ায় আসামী নুরুল ইসলামসহ অন্যান্যরা দোকানে ডুকে কথা বলতে না বলতেই মারধর ও ছুরিকাঘাত করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান চিৎকার শুনে স্থানীয় জনগণ এসে রুবেলকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উখিয়া হাসপাতাল, পরে অবস্থা অবনতি হলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

ওইদিন রাত আটটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে নিহত রুবেল ঘটনার দিন ইফতার সামগ্রী নিয়ে বোনের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে তার চাকরি স্থল টেইলারিং দোকানে সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে ভাবে খুনের শিকার হন।

বাদী ও নিহতের বড় ভাই সোনা আলী জানান হত্যাকাণ্ডের ১৪ দিন পার হলেও হত্যাকাণ্ডে জড়িত ও মামলার কোনো আসামি এখনও গ্রেফতার হয়নি। এমনকি উল্টো মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। নিহতের পিতা ফজল করিম ও মাতা সফুরা খাতুন পুত্র রুবেল হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে বারবার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন আমার পুত্র কোন দিন কারো দোষ করেনি। শান্তশিষ্ট ও ভদ্র হিসেবে এলাকায় রুবেলের পরিচিতি। পরিবার পরিজন রুবেল হত্যাকারীদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) নুরুল ইসলাম মজুমদার জানান, রুবেল হত্যা মামলার আসামিদের কে গ্রেপ্তার করার জন্য সম্ভাব্য এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার জন্য পুলিশ সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছেন।

পাঠকের মতামত

উখিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত-৩

উখিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত-৩

উখিয়া (কক্সবাজার) সংবাদদাতা কক্সবাজারের উখিয়ায় মিনি ট্রাক- মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মোটরসাইকেল আরোহী ...
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন সিডার প্রতিনিধিদল

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন সিডার প্রতিনিধিদল

  উখিয়া(কক্সবাজার) সংবাদদাতা কক্সবাজারের উখিয়ার বিভিন্ন আশ্রয়শিবির পরিদর্শন করলেন সুইডিশ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা (সিডা) ...

টেকনাফে মার্টি বোঝাই ডাম্পারের ধাক্কায় এক রোহিঙ্গা  জেলে নিহত

উখিয়া-টেকনাফ প্রতিনিধি। কক্সবাজারের-টেকনাফ হাইওয়ে সড়কে মার্টি বোঝাই  ডাম্পার গাড়ির ধাক্কায় মাছ ধরতে যাওয়া এক রোহিঙ্গা ...
টেকনাফে যৌথ অভিযানে উদ্ধারকৃত সাড়ে৪৫কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস

টেকনাফে যৌথ অভিযানে উদ্ধারকৃত সাড়ে৪৫কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস

  আব্দুস সালাম,টেকনাফ টেকনাফে সাড়ে ৪৫কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে কোস্টগার্ড।এসময় যৌথ বাহিনীর১২টি অভিযানে এসব ...