সিএসবি২৪ ডেস্ক:
মাদারীপুরে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে ১৬টি বানর ‘হত্যার’ ঘটনা স্বীকার করেছেন শাহানা বেগম (৫৫) নামের এক গৃহবধু। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনার স্বীকারোক্তি দেন তিনি।
শাহানা বেগম সদর উপজেলার খাগদী এলাকার লতু হাওলাদারের স্ত্রী। তার দুটি সন্তান রয়েছে। গতকাল শনিবার গভীর রাতে সন্দেহজনকভাবে তাকে ও তার দেবর আকু হাওলাদারকে আটক করে পুলিশ।
পরে থানায় পুলিশি হেফাজতে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শাহানা বেগম খাবারের সঙ্গে বিষ দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। জিজ্ঞাসাবাদে শাহানা বেগম জানান, বাড়ি-ঘরে বিরক্ত করায় বিষ প্রয়োগে বোবা প্রাণীগুলোকে হত্যা করেন তিনি। আকু হাওলাদার এ ঘটনায় সম্পৃক্ত না থাকায় তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। পরে বন সংরক্ষণ আইনের মামলায় আসামি করে আজ রোববার বিকেলে শাহানা বেগমকে আদালতে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল আলম মোল্লা বলেন, ‘বানর হত্যার ঘটনায় সদর থানায় মামলা হলে সন্দেহজন দুজনকে আটক করি। এদের মধ্যে শাহানা বেগম নামের এক নারী বানর হত্যার কথা স্বীকার করেন। তিনি জানিয়েছেন, খাবারের সাথে বিষ দিয়েছিলেন বানরগুলোকে। এতেই বিষক্রিয়া হয়ে মারা গেছে বানরগুলো। তবে কোন ধরনের বিষ সেটা জানা সম্ভব হয়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে। ওই নারীর দেবর দোষী না হওয়ায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’
মাদারীপুরের চরমুগরিয়া এলাকায় গত ৫ মে বিকেলে ১৬টি বানর বিষক্রিয়ার কারণে মারা যায়। কে বা কারা তাদের বিষ প্রয়োগ করে তা না জানায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মাদারীপুর সদর সদর মডেল থানায় ফৌজদারি এবং বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে আলাদা দুটি মামলা দায়ের করে মাদারীপুর বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষণ তাপস কুমার সেন গুপ্ত।
তাপস কুমার আজ বলেন, ‘ওই নারী দোষ স্বীকার করেছে। তিনি আরো বলেছেন- তিন মাস আগেও বিষ দিয়ে আরও ৮টি বানর মেরেছিল। তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বিশ্বাস রাখি, এই তরতাজা প্রাণীগুলোর হত্যাকারীর সঠিক বিচার করা যাবে।’
পাঠকের মতামত