
সিএসবি২৪ ডেস্ক:
চলতি বোরো মওসুমে সারা দেশে বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেছেন, ‘দেশে খাদ্যের অভাব হবে না। সঠিক সময়ে নতুন ফসল ঘরে তুলতে পারলে খাদ্যের সমস্যা হবে না, বরং খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকবে।’
আজ শনিবার দুপুরে মন্ত্রীর মিন্টো রোডস্থ সরকারি বাসভবন থেকে নওগাঁ জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
ভিডিও কনফারেন্সে জেলার করোনাভাইরাস মোকাবিলা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহ, আম উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘আশা করা যাচ্ছে চলতি বোরো মৌসুমে প্রায় ৩ কোটি ৫০ লক্ষ মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হবে (বোরো এবং আমন)। এ ছাড়া প্রায় ২০ থেকে ২৫ লক্ষ মেট্রিক টন আউশ ধান উৎপাদিত হবে। এই উৎপাদন দিয়ে দেশের চাহিদা পূরণ করেও উদ্বৃত্ত থাকবে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকারিভাবে অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় এবার বেশি ধান চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে। যা করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় বড় সহায়ক হবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশে ধান ও চাল সংগ্রহ শুরু হয়েছে। খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা করোনা মোকাবিলা করে এই সংগ্রহ কার্যক্রম চালাচ্ছেন।’ শস্য সংগ্রহে যাতে কোনো অনিয়ম না হয় সেজন্য খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে বলেন তিনি।
এ ছাড়া সংগ্রহ কার্যক্রমে সবাইকে সহযোগিতা ও করোনা মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপদ দূরত্ব মেনে চলার আহ্বান জানান খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘লটারির মাধ্যমে প্রকৃত কৃষকদের মধ্যে থেকে কৃষক নির্বাচন করা হবে। যদি কোনো কৃষক তার টিকিট মধ্যস্বত্বভোগীদের নিকট বিক্রি করে তাহলে সেই কৃষকের কার্ড বাতিল করা হবে এবং সে সমস্ত মধ্যস্বত্বভোগীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকা নিশ্চিত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আগে থেকেই সারা দেশে ৫০ লক্ষ পরিবারকে বছরে পাঁচ মাস প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল প্রতি কেজি ১০ টাকা করে বিতরণ করা হচ্ছে।’ করোনাকালীন সময়ে কর্মহীন দরিদ্র মানুষের কথা চিন্তা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আরও ৫০ লক্ষ পরিবারের মাঝে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল প্রতি কেজি ১০ টাকা করে দেবার জন্য সারা দেশে তালিকা তৈরির কাজ এগিয়ে চলছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘যদি কেউ সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দোকান খুলে তবে তাকে অবশ্যই সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।’ গ্রাহকদের প্রবেশের সময় হ্যান্ড গ্লাভস ও মুখে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং প্রবেশপথে হাত ধোয়ার জন্য সাবান এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে তাদের প্রতি অনুরোধ জানান খাদ্যমন্ত্রী।
ভিডিও কনফারেন্সে নওগাঁ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক, নওগাঁ-৩ আসনের এমপি সলিম উদ্দিন তরফদার, নওগাঁ-৫ আসনের এমপি ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান, জেলা সিভিল সার্জন আখতারুজ্জামানসহ সেনা, বিজিবি, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা, জন প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মীরা বক্তব্য দেন।
এ ছাড়া জেলার ১১টি উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী অফিসার, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা অংশ নিয়ে মতামত তুলে ধরেন।
পাঠকের মতামত