অমৃত কুমার বড়ুয়া : বাংলাদেশে আপনি গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে বিশ্বে তাগ লাগিয়ে দিয়েছেন ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের জীবন মান উন্নত হয়। এতে অনেক অনেক নিরক্ষর দরিদ্র মানুষের স্বাক্ষর জ্ঞান অর্জন করেছেন শুধু তা নয় তারা নিজের অধিকার, পরিবার এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে ও সচেতন হয়েছে।
আপনার গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে শতশত শিক্ষিত যুবক-যুবতীরা চাকরি করে সচ্ছলতার সাথে পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবন যাপন করছেন। বেকারত্ব দূরীকরণে এটাও আপনার অন্যতম একটি সফলতা। গ্রামীণ ব্যাংক ও ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে আপনি আজ বিশ্বে সমাদৃত।
আজ দেশ, জাতি ও সমাজ গভীর সংকটে, দূর্যোগে করোনার মহামারিতে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। সরকার বাহাদুর তথা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ১৬ কোটি মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য। তিনি একজন করোনা ফাইটার হিসেবে রাত দিন দেশের মানুষের কল্যাণে স্বাস্থ্য সচেতনতা ও নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।
দেশের ধনীরা, সচ্ছলরা আমাদের গৌরব সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা ও কর্মকর্তা কর্মচারী সবাই করোনা মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছেন। এমনকি একজন ভিক্ষুক মাথার ঘাম পায়ে ফেলে এক টাকা দুই টাকা করে সঞ্চিত ১০ হাজার টাকা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী মহোদয়ের ত্রাণ তহবিলে দান করে দৃষ্টান্ত স্হাপন করেছেন যা আপনার অজানা নয়। ভিক্ষুকের এ ধরনের ত্যাগী মানষিকতা অভিনন্দন যোগ্য। বিভিন্ন ব্যাংক এনজিও বা দাতা সংস্থা করোনা ফাইটার হিসেবে কাজ করছে।
কিন্তু আপনি ও আপনার গ্রামীণ ব্যাংকের উদাসীনতা সচেতন মহলে আলোচনার বিষয়বস্তু বা Talk of the country তে পরিনত হয়েছে।
আপনার ব্যাংকের সদস্যরা এই সংকটে কেমন আছে? তাদের কী অবস্থা ? অসহায় ও দরিদ্র মানুষের জীবন স্বচক্ষে দেখার ইচ্ছে কী নেই ? তাদের শরীরের ঘাম ঝরা মুনাফায় ব্যাংকে তহবিলে কোটি কোটি টাকা জমা আছে।
মানুষ না থাকলে বা না বাচঁলে এ টাকা কিসের জন্য ? এখনো সময় আছে আপনার মেধা ও সামর্থ্য দিয়ে মানুষের পাশে দাড়াঁবার।
লেখক : প্রধান শিক্ষক, রেজুরকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
পাঠকের মতামত