করোনা মহামারি নিয়ে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’কে দায়ী করছে ডব্লিউএমএ

অনলাইন ডেস্ক:
করোনাভাইরাস সংক্রমণ যে গোটা বিশ্বে মহামারি আকার নিয়েছে তার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে দায়ী করছে ওয়ার্ল্ড মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউএমএ)। সংগঠনটি বলছে, ডব্লিউএইচও’র ভুলেই আজ চড়া মাসুল গুনতে হচ্ছে গোটা বিশ্বকে।

বিশ্বে এক কোটি চিকিৎসক নিয়ে গঠিত এ সংগঠনটি আরও বলেছে, ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার পর পর সংক্রমণ ঠেকাতে তাইওয়ান আগে থেকেই যে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিল, ‘রাজনৈতিক কারণে’ই তাকে গুরুত্ব দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। নতুন করে বড় আরও বড় ভুল এড়াতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় তাইওয়ানের গুরুত্ব বাড়ানোরও দাবি জানিয়েছে ডব্লিউএমএ।

ডব্লিউএইচও’র ডিরেক্টর টেড্রস আদানম গেব্রেইসাসকে লেখা একটি চিঠিতে ডব্লিইএমএ’র পক্ষে গত শুক্রবার অভিযোগ করা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় তাইওয়ানকে বাধাহীন কার্যকরী ভূমিকা নিতে না দেওয়াটা যে বিশ্বের স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে কতো বড় ভুল হয়েছে; কোভিড-১৯ সংক্রমণ মহামারি হয়ে উঠে সেটাই প্রমাণ করল।

২০০৩ সালে আর এক ধরনের করোনাভাইরাস ‘সার্স’র হানায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল তাইওয়ানে। তাইওয়ানের অভিযোগ, সার্সের অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতেই ডব্লিউএইচও’কে সতর্ক করতে চেয়েছিল তাইওয়ান। অনেক আগেই জানিয়েছিল, অন্য কোনো করোনাভাইরাস পরে মানুষের মধ্যেও দ্রুত হারে ব্যাপকভাবে সংক্রমিত হতে পারে। কিন্তু চীনের দিকে ঝুঁকে থাকা ডব্লিউএইচ তাতে গুরুত্ব দেয়নি।

ডব্লিউএমএ আরও বলেছে, দুই বছর আগে ডব্লিউএইচও’র নীতিনির্ধারক কমিটিতেও তাইওয়ানকে ‘পর্যবেক্ষক’র মর্যাদা দিতে রাজি হয়নি। তাইওয়ানকে তারই এলাকা মনে করে বেইজিং। তাই চীনের আপত্তিতেই তারা এটি করেনি।

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস নিয়ে আলোচনা-সামালোচনার মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘যদি করোনাভাইরাস চীনের উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলোজি ল্যাব থেকে শুরু হয় তবে চীনকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে।’ এ ছাড়া চীনের সঙ্গে ডব্লিউএইচও’র ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলে সংস্থার জন্য দেওয়া মার্কিন অর্থ সাহায্য বন্ধের ঘোষণাও করেছিলেন তিনি। যদিও ডব্লিউএমএ সাহায্য বন্ধের বিষয়টি নিয়েও সমালোচনা করেছিল।