পালংখালীতে লকডাউন ৩ পরিবার, রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে চেয়ারম্যান

রফিক মাহমুদ, সিএসবি২৪ ডটকম:
উখিয়া উপজেলার পালংখালীতে চলমান প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য তিন পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানিয়েছেন, পালংখালী ইউনিয়নের রহমতেরবিল গ্রামের বাসিন্দা তৈয়ম গোলালেরর পুত্র গুরা মিয়া বিগত ১বছর যাবৎ শারীরিক সমস্যার কারনে ঢাকা বক্ষব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। তিনি গত ১৬ এপ্রিল স্বপরিবারে ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে এসে পৌঁছালে পালংখালি ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষথেকে অাগামী ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছেন। তার বাড়িতে লাল পতাকা উত্তোলন করে কোয়ারেন্টাইন স্টিকার লাগানো হয়।

একই ভাবে ইউনিয়নের চুরাখোলা গ্রামের বাসিন্দা অা
আলজামিআতুল ইসলামিয়া মদিনাতুল উলুম মাদ্রসার শিক্ষক আশরফ আলীর পুত্র আফজল হুসাইনকে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে। তার বাড়িতেও লাল পতাকা উত্তোলন ও কোয়ারেন্টাইন স্টিকার লাগানো হয়েছে। কয়েকদিন পূর্বে সে নারায়নগঞ্জ থেকে বাড়িতে এসেছে।

অপরদিকে পশ্চিম পালংখালী গ্রামের বাসিন্দা নুর আলমের পুত্র ফিরোজ কামাল রামু থেকে আসায় তাকেও কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তার বাড়িতেও লাল পতাকা উত্তোলন করে কোয়ারেন্টাইন স্টিকার লাগানো হয়।

লকডাউন অবস্থায় সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে তাদের বাড়িতে ১বস্তা চাউল প্রয়োজনীয় কাঁচা বাজারসহ যাবতীয় দ্রব্যাদি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তাদেরকে হোম কোয়ারাইন্টাইন যথাযথভাবে পালন করার জন্য অনুরোধ করেছি এবং অাশেপাশের লোকজনকে অাতঙ্কিত না হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

তাঁর ইউনিয়নবাসীকে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন বলে জানান চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, যেহেতু সীমান্তবর্তী ঘুমধুম ইউনিয়নে গতকাল করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে। তাই সেখান থেকে পালংখালীতে যেন কোন লোক হেটে বা গাড়ীতে করে আসতে না পারে সেজন্য রাত জেগে পাহারা দেয়া হচ্ছে।