
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে আটক ৩৯৬ জন রোহিঙ্গাকে ইউএনএইচসিআর কাছে হস্তান্তর করেছে কোস্টগার্ড।
বৃহস্পতিবার বিকালে তাদেরকে ইউএনএইচসিআর এর কাছে হস্তান্তর করলে উখিয়া টেকনাফের দুইটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নেয়া হয়েছে।
কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার সোহেল রানা জানান, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাদেরকে ইউএনএইচসিআর এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখানে ১৮২ জন নারী ১৫০ জন পুরুষ ও ৬৪জন শিশু রয়েছে। কোয়ারেন্টাইন শেষ হলে তাদেরকে স্ব স্ব ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া একজনের সর্দি-কাশি থাকায় তাকে আলাদা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বুধবার রাতে মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলারটি টেকনাফের জাহাজপুরা নামক এলাকায় সমুদ্র সৈকতে নোঙর করলে কোস্টগার্ড তাদেরকে আটক করে।
পরবর্তীতে বিজিবি ও পুলিশের সহায়তায় বৃহস্পতিবার ভোরে তাদেরকে টেকনাফ পৌর এলাকার ট্রানজিট জেটি এলাকায় এনে রাখা হয়। সেখানে অসুস্থ্যদের চিকিৎসা ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। পরে বিকাল সোয়া ৩টার দিকে তাদেরকে ইউএনএইচসিআরের মাধ্যমে উখিয়া টেকনাফের দুটি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়াারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।
উদ্ধার রোহিঙ্গারা জানান, দুই মাস আগে মালয়েশিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে তারা উখিয়া-টেকনাফ কক্সবাজার সহ বিভিন্ন উপকূল থেকে দালালদের মাধ্যমে ছোট ছোট ট্রলারে করে সাগরে অপেক্ষমান বড় ট্রলারটিতে উঠে। পরে সেটি মালয়েশিয়া উপকূলে পৌঁছেও কড়াকড়ির কারনে তারা সেদেশে ঢুকতে পারেনি। এভাবে দীর্ঘদিন তারা সাগরে ভাসতে থাকে।
ট্রলারটি ছিল মিয়ানমারের এবং ট্রলারের মাঝিমাল্লারা ছিল মিয়ানমারের নাগরিক (রাখাইন)। কয়েকজন রোহিঙ্গা দালালও ছিল সেখানে। সাগরে ভাসতে ভাসতে একপর্যায়ে ট্রলারের প্রায় ৩২জন যাত্রী অসুস্থ্য হয়ে মারা যায় বলে দাবি করে রোহিঙ্গারা। যাদেরকে সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
পাঠকের মতামত