
পলাশ বড়ুয়া::
ছবির মানুষ গুলো এদেশের প্রকৃত মালিক। সংক্রমণ ব্যধি করোনা মহামারিতেও লকডাউনকালীন এভাবে জড়ো করা হয়, কারণ তাঁদের বয়স্ক ভাতা দেয়া হবে।
যদিও প্রতিটি মানুষের জীবনে শেষের দিকে বয়স্ক ভাতা দেয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। কিন্তু লক্ষ্য করা গেছে সব সময় অমানবিক আচরণ করা হয় প্রবীণ মানুষ গুলোর সাথে।
নানান চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে উপকারভোগীর তালিকায় নাম লেখালেও মাসিক ৫শ টাকার জন্য কি যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে না যেতে হয়। যেখানে তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌছে দেয়ার কথা। সেখানে জরাজীর্ণ মানুষ গুলোকে শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় মালিকানায় পরিচালিত ব্যাংকের দরজার সামনে লম্বা লাইনে দাঁড় করিয়ে অথবা রাস্তার দ্বারে দ্বারে তীব্র রোদের গরম/বৃষ্টিতে বসিয়ে রাখা হয়।
আবার কখনো কখনো ব্যাংক কর্তারাও বিরক্ত হয়ে প্রবীণ মানুষ গুলোর সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের মাধ্যমে নিজেদের পাপের ভান্ডটাও ভর্তি করে নেয়। আমি এই অকেঁজো সিস্টেমে পরিবর্তন জরুরী হয়ে পড়েছে।
কেননা, রাষ্ট্রীয় সুবিধা ভোগ করার অধিকার সকল নাগরিকের। কিন্তু নোংরা সিস্টেমের কারণে অনেক মানুষ এই সুবিধা/অধিকার বঞ্চিত।
তাই প্রতিটি মানুষের নির্দিষ্ট বয়স হলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে নিজস্ব ব্যাংক হিসাবে জমা পূর্বক সুবিধামতো সময়ে উত্তোলনের সুযোগ দেয়া হউক। কিংবা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা চালু করা হউক।
যেহেতু, দেশের নাগরিকদের তথ্য-উপাত্ত সরকারের নির্বাচন কমিশনের সার্ভার তথা খানা জরিপে আছে। তাই সিস্টেমটা দূর্নীতিমূক্ত এবং সহজতর করার সময়ের দাবী।
—-সম্পাদকীয়।
পাঠকের মতামত