প্রকাশিত: ২৬/০২/২০২০ ৮:৩৯ অপরাহ্ণ , আপডেট: ২৬/০২/২০২০ ৮:৩৯ অপরাহ্ণ
দিল্লির ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে যা বললেন মোদি

সিএসবি২৪ ডেস্ক।। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরের মধ্যেই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে চলা বিক্ষোভ সংঘর্ষে রূপ নিয়ে এখন পর্যন্ত ২১ জনের নিহতের খবর জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। এদিকে দিল্লির সংঘর্ষ নিয়ে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মোদি বলেন, শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখতে আমি আমার দিল্লির ভাই-বোনদের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। উত্তর-পূর্ব দিল্লির সহিংসতা নিয়ে প্রথমবারের মতো এমন মন্তব্য করলেন মোদি। বিক্ষোভ-সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১৮০ জন আহত হয়েছে। সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে মোদি বলেছেন, তিনি রাজধানীর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন।

এক টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও বলেন, দিল্লির বিভিন্ন অঞ্চলে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়েছে। শান্তি এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ এবং অন্যান্য সংস্থাগুলো।

এর আগে দিল্লি সংঘর্ষের ভয়াবহতা উল্লেখ করে সেনাবাহিনীর সহায়তা চেয়েছেন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সংঘ’র্ষ নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু কোনোভাবেই পেরে উঠছে না। প্রয়োজন হলে কারফিউ জারি করা যেতে পারে।

কেজরিওয়াল আরও জানান, একটি চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বিষয়টি অবিহিত করা হয়েছে।

এদিকে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সহিংসতায় বিধ্বস্ত চাঁদবাগ এলাকা থেকে দেশটির গোয়েন্দা বাহিনীর এক কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার সকালের দিকে চাঁদবাগের একটি ড্রেন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে বাসায় ফেরার সময় চাঁদবাগে একদল উত্তেজিত জনতা অঙ্কিত শর্মার ওপর হামলা চালায়। চাঁদবাগ সেতুর ওপর তাকে পিটিয়ে হত্যার পর পাশের একটি ড্রেনে মরদেহ ফেলে দেয়া হয়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। বুধবার সকালের দিকে মরদেহের খোঁজ পাওয়ার পর অঙ্কিতের বাবা রবিন্দর শর্মা বলেন, আম আদমি পার্টির সমর্থকরা তার ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

অপরদিকে, গৌতমপুরী এবং মৌজপুরের আশপাশের অঞ্চলের বাসিন্দারা বাড়ির বাইরের দেওয়াল, প্রধান দরজা এমনকি বারান্দাতেও লাগিয়ে রাখছেন গেরুয়া পতাকা। তারা নিজেদের এভাবে হিন্দু বলে প্রমাণ করছেন যেন হামলার শিকার হতে না হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভজনপুরার এক বাসিন্দা বলেন, সহিংসতার হাত থেকে বাঁচার জন্য এই এলাকার প্রতিটি হিন্দু বাড়ি এবং দোকানের গায়ে গেরুয়া পতাকা লাগানো হয়েছে। যদিও এই এলাকা হিন্দু প্রধান, তবুও কয়েকজন মুসলিমেরও দোকান রয়েছে। সেগুলো সব পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

পাঠকের মতামত

  • ২৬ কোটি টাকার ইজারার সেই আলোচিত-রামুর গর্জনিয়া বাজার পরিদর্শন করলেন ডিসি সালাহউদ্দিন
  • রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিদল
  • সিলেটের নিখোঁজ সেই ৬জন ৬দিন পর টেকনাফে উদ্ধার
  • বৃহস্পতিবার কক্সবাজার আসছেন দুই উপদেষ্টা: বাঁকখালী নদীর দখল-দূষণ পর্যবেক্ষণ ও নৌবন্দর সংক্রান্ত সভায় যোগ দেবেন
  • উখিয়ায় সড়ক দু’ঘটনায় ইউপি সদস্য নিহত
  • সিলেটের নিখোঁজ ছয় শ্রমিকের লোকেশন টেকনাফ: দাবী পুলিশের
  • টেকনাফে এপিবিএন পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশ কর্মকর্তা সহ ৩ জন আহত
  • টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাত দলের গোলাগুলি,এক ডাকাত গুলিবিদ্ধ
  • সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার
  • উখিয়ার থাইংখালীতে এ প্লাস প্রাপ্ত ২৫০ নুরানি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা
  • টেকনাফে এপিবিএন পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশ কর্মকর্তা সহ ৩ জন আহত

    টেকনাফে এপিবিএন পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশ কর্মকর্তা সহ ৩ জন আহত

      জাহাঙ্গীর আলম, টেকনাফ ( কক্সবাজার) সংবাদদাতা কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এপিবিএন পুলিশ চেকপোস্টে তল্লাশির সময় ...