অনলাইন ডেস্ক:
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্বখাতভুক্ত সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদে নিয়োগের জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। আদালতে মামলা জনিত কারণে এসব জেলার নিয়োগ কার্যক্রম অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরথেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ স্থগিতের বিষয়ে জানানো হয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদে নিয়োগের জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত হওয়া জেলাগুলো হল, বগুড়া, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, নড়াইল, খুলনা, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, ঢাকা, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, নরসিংদী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, কক্সবাজার বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠী, সুনামগঞ্জ, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্বখাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০১৮ এর ফলাফলে ৬০ শতাংশ মহিলা কোটা সংরক্ষণ হয়নি উল্লেখ করে হাইকোর্টে ৩৮ জেলায় রিট পিটিশন মামলা করা হয়েছে। এ রিট পিটিশনের আদেশে আদালত আগামী ৬ মাসের জন্য নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করেছেন। ফলে পূর্ব ঘোষণা মতে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি এসব জেলায় যোগদানের বিষয়টি অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তাই, এসব জেলায় শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের যোগদান, কর্মশালা ও পদায়ন নির্দেশনা স্থগিত করা হলো।
আদালতে বিষয়টি সুরাহা হলে পরবর্তীতে তাদের যোগদান-পদায়নের সময় জানিয়ে দেয়া হবে। এ নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বাস্তবায়ন করতে নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
যদিও গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক আদেশে বলা হয়েছিল, ২৯টি জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্বখাতভুক্ত সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদে নিয়োগের জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের ওরিয়েন্টেশন আগামী ১৭ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। একই আদেশে এসব জেলার নব নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে ‘ওয়ান ডে ওয়ান ওয়ার্ড’ কর্মসূচির বিষয়ে নির্দেশনা দেয়ার দায়িত্ব ১৫জন কর্মকর্তাকে দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের পাঠানো এক নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, ১৬ ফেব্রুয়ারি নতুন শিক্ষকদের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগদান করতে হবে। ১৭ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি তাদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হবে। আর ১৯ ফেব্রুয়ারি নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের পদায়নের আদেশ জারি করা হবে।
পাঠকের মতামত