সাড়ে ৪ মাসেও হত্যাকান্ডের ‘ক্লু’ বের হয়নি
সিএসবি২৪ রিপোর্ট ॥ কক্সবাজারের উখিয়ায় একই পরিবারের নারী-শিশু সহ ৪জনকে জবাই হত্যাকান্ডের সন্দেহজনক আটক অসীম বড়ুয়া দ্বীপচান জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। জামিনপ্রাপ্ত অসীম বড়ুয়া নিহত মিলা বড়ুয়া’র ভগ্নিপতি হয়। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের দীর্ঘ সাড়ে ৪ মাস অতিবাহিত হলেও কোন ধরণের ক্লু বের করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
১০ ফেব্রুয়ারি (রোববার) কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল ১৭৪/২০২০ নম্বর ফৌজদারী মিচ মামলায় অসীম বড়ুয়াকে মামলার চার্জশীট দাখিল না করা পর্যন্ত অর্ন্তবর্তী জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন শুনানীতে রাষ্ট্র পক্ষে জামিনের বিরোধিতা করে আইনগত যুক্তি তুলে ধরেন-পিপি এডভোকেট ফরিদুল আলম। অপরদিকে জামিনের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট অরূপ বড়ুয়া তপু, এডভোকেট অনীল বড়ুয়া, এডভোকেট দীলিপ দাশ, এডভোকেট কফিল উদ্দিন, এডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, এডভোকেট নুরুল মোস্তফা মানিক, এডভোকেট ক্য ক্য রাখাইন সহ ৮ জন বিজ্ঞ আইনজীবী।
এদিকে হত্যা মামলার বাদী ও জামিনপ্রাপ্ত অসীম বড়ুয়া’র শ্বশুর শশাংক বড়ুয়া আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তাঁর জামাই এ হত্যাকান্ডের সাথে কোনভাবেই জড়িত নয় এবং এ বিষয়ে অসীম বড়ুয়া সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করেন। অপরদিকে চাঞ্চল্যকর ৪ মার্ডার মামলায় এজাহারভুক্ত কোন আসামী নেই।
হত্যাকান্ডের পরপর প্রবাসী রোকেন বড়ুয়া’র বড় ভাই শিপু বড়ুয়া’র স্ত্রী রিপু বড়ুয়া ও ভাগ্নী জামাই উজ্জ্বল বড়ুয়াকে সন্দেহজনক আটক করে উখিয়া থানা পুলিশ। পরে মামলাটি পিবিআই এর কাছে হস্তান্তর করা হলে পিবিআই এর আইও ইন্সপেক্টর পুলক বড়ুয়া ২০১৯ সালে ১১ ডিসেম্বর অসীম বড়ুয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় কোটবাজার থেকে অসীম বড়ুয়াকে নিয়ে গিয়ে ২৫ দিন পর পিবিআই আটক দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে বলে দাবী করেন অসীমের বড় ভাই পেঠান বড়ুয়া। পেঠান বলেন, জামিন মঞ্জুরের নথি কারাগারে পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় সোমবার মুক্ত হয়নি তাঁর ভাই। ওই সময় পিবিআই অসীম বড়ুয়ার বিরুদ্ধে আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কিন্তু রিমান্ডে নিয়েও হত্যাকান্ডের কোন ক্লু বের করতে পারেনি জানা গেছে।
এ ঘটনায় সন্দেহজনক আটক অসীম বড়ুয়া জামিন মঞ্জুর করলেও রিপু বড়ুয়া ও উজ্জ্বল বড়ুয়া এখনো কারাগারে আটক রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে স্বজনহারা রোকেন বড়ুয়া বলেন, “হত্যাকান্ডের আগে-পরে ফোন কল রেকর্ড এবং বিভিন্ন তথ্যে অসীম বড়ুয়া’র সংশ্লিষ্ট থাকতে পারে। যা মামলার বাদী শশাংক বড়ুয়া নিজেও হয়ত জানে। তাই তারা আমি বিদেশ থেকে আসার পূর্বেই হত্যা মামলার বাদী হয়েছে।” এছাড়াও রোকেন পুনরায় মা, স্ত্রী, পুত্র ও ভাইয়ের মেয়ে হত্যার বিচারের চেয়ে আদালতে মামলা করবেন বলেও জানান।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রতœাপালং ইউনিয়নের পূর্ব রত্নাপালং এলাকায় এই হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। বর্বরোচিত এই হত্যাকান্ডের শিকার হন কুয়েত প্রবাসী সৌরভ বড়ুয়া প্রকাশ রোকেন বড়ুয়ার এক পুত্র সন্তান রবিন বড়ুয়া, মা সখি বালা বড়ুয়া, স্ত্রী মিলা বড়ুয়া, তাঁর ভাইজি প্রমি বড়ুয়া।
পাঠকের মতামত