
এম,এস রানা, কোটবাজার থেকে
মাঘের শীতে দীঘির জল শুকায়, বিল শুকায় কিন্তু শুকায়না কোটবাজারের ভালুকিয়া সড়ক। সড়কের উভয় দিক থেকে আসা মানব মল-মূত্রের ডেরায় পরিণত হয়েছে জনগণগুরুত্ব সড়কটি ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উখিয়া উপজেলার কোটবাজারের জনগুরুত্বপুর্ন এই সড়কটির নাজুক অবস্থা। কোন পথচারী অসবধানতা বশত: যদি কেউ পা বাড়ায় তাহলে পিচ্চিল খেয়ে কোমর ভাঙ্গা ঝুকিতো আছেই, তাছাড়াও ঐ সড়কের ময়লা যুক্ত পানি এসে গায়ে পড়লে গোসল ছাড়া নামাজ আদায় সম্ভব নয়।
উভয় পাশ্বের দোকানের নিচ দিয়ে বেয়ে আসা পানির স্রোতধারা দেখে পানি মনে হলেও প্রকৃত ঝর্ণাধারার কোন পানি নয় এগুলো পার্শের মার্কেটের সেপটি ট্যাংক ও নর্দমা থেকে গড়িয়ে আসা মল-মুত্রের নির্ঘত রসের ভান্ডার।
পার্শ্ববর্তী রেস্তোরা আল-মদিনা’র অবাঞ্চিত বর্জ্য ক্ষুদ্র নালা দিয়ে এসে ভরপুর যাওয়ার কারনে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে যাচ্ছে ষ্টেশনের সর্বত্র। ফলে ভালুকিয়া সড়কের ব্যবসায়ী ক্রেতাদের নাকে রুমাল দিয়ে বিকিকিনি করতে হয়। এমনই চিত্র দেখা যায় প্রতিনিয়ত।
ব্যবসায়ী মাহবুব আলম বলেন, সারা বছরই কাদা মাটি আর ময়লা পানিতে ডুবে থাকে এ ভালুকিয়া সড়ক। এ যেন ঐ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী জন সাধারণ ও ব্যবসায়ীদের জন্য বারো মাসি দুংখ। এক যুগের বেশী সময় ধরে চলে আসা চরম দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে কয়েকবার ধানের চারা রোপন করে সামাজিক মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণের করার চেষ্টা করা হয়। এছাড়াও স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে স্ব-চিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের।
উখিয়া উপজেলা প্রকৌশলী ও ইউ.পি চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী সড়কটি উন্নয়নের লক্ষে একাধিকবার পরিদর্শন করে গেলও তা আলোর মূখ দেখেনি।
ব্যবসায়ী ইসকান্দর মির্জা, ফিরোজ আহমদ, শাহ আলম, বেলাল উদ্দিন, বাবুল সওদাগর সহ একাধিক ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ক্ষোভের সাথে বলেন, দেশে সরকার আসে সরকার যায়, উন্নয়নে দেশ ভরে যায়,দর্ভাগ্য ভালুকিয়া সড়কের চরম দুর্ভোগের একমাত্র কারন ৫০ গজ রাস্তার কোন উন্নয়ন দেড় যুগেও হয়নি। তারা আরো বলেন, সড়কের উত্তর পার্শের মার্কেট থেকে নালা, নর্দমা ও মল মুত্রের সেপটি ট্যা্ংক থেকে পানি এসে সড়কে একাকার হয়ে যাওয়াতে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় মেম্বার মোকতার আহমদ ও আবদুল গফুর বলেন, সড়কটির প্রয়োজনীয় উন্নয়নের লক্ষে চেয়ারম্যান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সড়কটি এলজিআরডির আওতাভুক্ত হয়েও তারা সেদিকে কোন প্রকার সুদৃষ্টি না দেয়ার অচিরেই বাজার উন্নয়ন ফান্ড থেকে টেন্ডার আহবান করার মাধ্যমে নালা-নর্দমা তৈরীসহ সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু করার কথা বলেন।
পাঠকের মতামত