সিএসবি২৪ রিপোর্ট ॥
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়রা মানসিক ও পারিবারিক ভাবে বিপর্যস্থ। স্থানীয় ক্ষতিগস্থদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ দেশী-বিদেশী এনজিওদের কে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য উন্নয়ন সহযোগিদের ভুমিকা রাখতে হবে।
মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আশ্রয় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের অস্থায়ী ভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই বলে, রোহিঙ্গারা যেন স্থানীয় জনগোষ্টীর সাথে মিশে না যায় সেই জন্য সরকার কাটাতারের বেড়া দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে সরকার।
শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালাং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনের স্থানীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর কর্তৃক সুপেয় পানির পাম্প উদ্বোধন মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ কক্সবাজারে পরিবেশ, পানি, জলাশয় এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে আরো বেশি কাজ করতে হবে।
পরে মন্ত্রী ক্যাম্প-২০ এক্সটেনশনের ইর্মাজেন্সী এসিসট্যান্স প্রকল্প (এলজিইডি অংশ) ও ফুড ডিস্ট্রিবিউশন পয়েন্ট উদ্বোধন করেন। মন্ত্রী তাজুল ইসলাম রোহিঙ্গা শিবিরের বেশ কয়েকটি পরিবারের সাথে আলাপ করেন। উখিয়ার ময়নারঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১২ আইএমও পরিচালনাধীন সুপেয় পানির পাম্প কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দিন আহমদ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরে প্রকৌশলী সুশংকর আচার্য্য, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মোঃ সাইফুর রহমান, অতিরিক্ত শরনাথী ত্রাণ প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ্দোজা, মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম সরওয়ার কামাল, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আমিমুল এহসান খান, উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল মনসুর ও পদস্থ কর্মকর্তারা।
পাঠকের মতামত