নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
সরকারের নির্দেশে সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটা তারের নিরাপত্তা বেষ্টনি স্থাপনের কাজ করছে। এই কাজে সেনাবাহিনী কোন এনজিওর সঙ্গে কোন ধরণের সম্পর্কে জড়াবে না। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারী) দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় জনপ্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় অংশ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এ কথা বলেন।
উখিয়া সেনা কো অর্ডিনেশন সেলে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ মতবিনিময় সভায় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মাহবুবুল আলম তালুকদার কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে অর্থ সংশ্লিষ্ট জটিলতা নিরসনে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রস্তাব দেন।
এ সময় সেনাপ্রধান বলেন, সেনাবাহিনী কাটাতারের বেড়া নির্মাণ করবে। এ ব্যাপারে কোন ধরনের অজুহাত মানা হবে না। কাঁটা তারের ঘেরা নির্মাণের সময় স্থানীয় লোকজনের স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়ারও তাগিদ দেন তিনি।
উখিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা আগমনে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে স্থানীয়দের জন্য বরাদ্দ টাকার কোন হিসাব নেই। সেনাপ্রধান বলেন, এব্যাপারে সেনাবাহিনীর কোন সংশ্লিষ্টতা নেই, তবে কখনো সুযোগ হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এই বিষয়টি জানানো হবে।
পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম এ গফুর চৌধুরী বলেন, পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে একটি সেনা ক্যাম্প রয়েছে। উক্ত সেনা সদস্যদের ভালভাবে থাকার ব্যবস্থাকরণ এবং পালংখালী ইউনিয়নের স্থানীয় লোকজনের নিরাপত্তার জন্য একটি অস্থায়ী সেনাক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানান। উত্তরে সেনাপ্রধান বলেন স্থানীয় ভাবে জিওসি এ সমস্যার সমাধান করবেন।
উখিয়ার সেনা কো অর্ডিনেশন সেলে রোহিঙ্গা ক্যাম্প কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ সম্পর্কিত ব্যাপারে সেনাবাহিনী প্রধানকে অবহিত করা হয়। এসময় তিনি সরকারের আদেশে সেনাবাহিনীর চলমান কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ প্রকল্প কাজকে দ্রুত সফল করতে উপস্থিত সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার যোগে কুতুপালং বাজার সংলগ্ন পশ্চিম পাড়ার বিলে নির্মিত অস্থায়ী হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন। রামু সেনানিবাসের ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মোহাম্মদ মইন উল্লাহ সেনা প্রধানকে স্বাগত জানান। এ সময় ইউএনও উখিয়া মাননীয় সেনাবাহিনী প্রধানকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দন জানান। কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটা তারের ঘেরা নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন সেনা প্রধান। দুপুর ২টার দিকে তিনি হেলিকপ্টার যোগে ফিরে যান।
উপস্থিত ছিলেন, উচ্চ পদস্থ সেনা কর্মকর্তাগন, কক্সবাজার বিজিবি সেক্টর কমান্ডার মনজুরুল হাসান খান, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মাহবুবুল আলম তালুকদার, কক্সবাজার- ৩৪ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আলী হায়দার আল আজাদ, কক্সবাজারের এডিসি এস এম সরোয়ার কামাল, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিহাদ আদনান তাইয়ান প্রমুখ।
পাঠকের মতামত