মোঃ মাহাবুব আলম:
পোশাক কারখানাগুলোকে বিশ্বমানের করে গড়ে তোলা, শ্রমিকদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার পরেও ক্রেতাদের কাছ থেকে পোশাকের সঠিক মূল্য পাওয়া যাচ্ছে না। টিকে থাকাটাই হিমশিম খেতে হচ্ছে।
দেশটির রেডিমেড গার্মেন্টস (আরএমজি) সেক্টরের “ন্যায্য মূল্যনির্ধারণ” প্রয়োজন যাতে শিল্পটি সম্পূর্ণরূপে মানদন্ডগুলি মেনে চলতে পারে। বিভিন্ন পরিদর্শন সংস্থার সর্থ অনুযায়ী ফ্যাক্টরিগুলি মান বজায় রাখতে পারে। বৈশ্বিক গার্মেন্টস, খুচরা বিক্রেতা গার্মেন্টস, কারখানার সবুজ উৎপাদন ইউনিট যথেষ্ট পরিমাণে রূপান্তরিত করার উপর জোর দিচ্ছে দেশীয় উদ্যোক্তা এবং বিজিএমইএ, তবে দামের সীমিত হারের কোন চিহ্ন এখনো আশার খাতায় নেই কারন কিছু গার্মেন্টস রপ্তানিকারকদের অসম প্রতিযোগিতার কারনে।
২০১২ সালের নভেম্বরে তাজরীন ফ্যাশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এবং ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে রানা প্লাজা ভবন ধসে পড়ার ফলে পুরো গার্মেন্টস শিল্পকে ভবিষ্যতের জন্য সম্ভাব্য হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিল,তা থেকে আমরা অনেকটাই বেরিয়ে এসেছি। দেশটির রেডিমেড গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য বড় আকারের সংস্কার কাজ চলছে।
সেফটি, সিকিউরিটি, স্যোসাল, কমপ্লাইয়েন্স ইস্যুতে পর্যাপ্ত পরিমানে কাজ চলছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশী রপ্তানিকারকগণ অন্যান্য বিদেশি ক্রেতাদের সাথে সমস্যাগুলির সমাধানে আলোচনার দক্ষতার অভাব রয়েছে ,সকলের সমন্বয়ের কারণে আমাদের পণ্যগুলির জন্য ন্যায্য এবং যুক্তিসঙ্গত মূল্য পাচ্ছিনা। কিন্ত এই সেক্টরকে টিকিয়ে রাখতে আমাদের সবাইকে এবং সব উদ্যোক্তাদের এক হয়ে কাজ না করার বিকল্প নেই।
আমাদেরকে এই রেডিমেড গার্মেন্টস সেক্টরের অনেক সাফল্যের গল্প রয়েছে, রয়েছে সোনালী ইতিহাস এইগুলোও আমাদের বিশ্ব ক্রেতাদের সামনে তুলে ধরতে হবে, কারন শুধু রানা প্লাজা আর তাজরীন ফ্যাশন দিয়ে পুরো বাংলাদেশের রেডিমেড গার্মেন্টসের চিত্র বিবেচনা করা যাবেনা এটি সঠিক নয় এটি বুঝাত হবে বিশ্ব ক্রেতাদের।
সর্বশেষ বলবো মূল্য নির্ধারনের জায়গাটিতে উদ্যোক্তাদের মধ্যে যে অসম প্রতিযোগীতা রয়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে।
লেখক : ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, লিউঃফ্যাশন লিমিটেড, মোবাইলঃ ০১৭১১-৩৬৭৮৭৯
পাঠকের মতামত