
টিবিটি বিনোদন ডেস্ক: মডেলিং থেকে নাটকে তিনি বেশ সফল। এরপর ফিল্মে নিজের ক্যারিয়ারের আরও খানিকটা সাফল্য পালক ছড়াতে গিয়েও ধাক্কা খেলেন তিনি। ফিল্ম পলিটিক্সে পড়ে কেন্দ্রিয় চরিত্র পাননি বলেই চলে। তাই চলচ্চিত্রে খুব একটা সুবিধা না করতে পেরে না পারছিলেন পুরোপুরি চলচ্চিত্রে ফিরতে, না পারছিলেন আবার পুরোদমে নাটকে ফিরতে। তাই এই উভয় সঙ্কটে আমেরিকায় পাড়ি দিয়েছিলেন অনেক আগেই দেশের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। মোনালিসা সেখানে একটি কসমেটিক্স কোম্পানির সেলস গার্ল হিসেবে কাজ করছেন। তবে এসব পুরোনো খবরের ভেতরে নতুন খবর হলো রুমানা বিয়ে করেছেন। এটি তার তৃতীয় বিয়ে। পাত্রের নাম এলিন। এলিনের দ্বিতীয় সংসার। তিনি একটি সুইটমিট কোম্পানির ব্যবসা করেন। জ্যাকশন হাইটসে ছেলের বাড়িতেই অনানুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করেন তারা।
তবে দেশে ফেরা নিয়ে নানা দোটানায় থাকা রুমানা তার এই বিয়ের খবরটি পুরোপুরি অস্বীকার করেন। তাই তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও কোনো স্ব-ঘোষিত বার্তা চোখে পড়েনি। এ প্রসঙ্গে রুমানা আমেরিকা থেকে ভাইবারে বলেন, অন্য কোনোকিছুর জন্য কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করে না। শুধু বিয়ে আর ডিভোর্সের খবরই আমার সবাই ছাপে। একজন শিল্পী হিসেবে এই অভিমান তো আমারও থাকতে পারে। আমি অভিনয় থেকে দূরে এর কারণ আমার কাছে আছে। আর যেহেতু আমি ডিভোর্স তাই জীবনে নতুন সিদ্ধান্ত নিতেই পারি। তবে সেই খবর আমি নিজেই সমস্ত মিডিয়াকে জানাতে চাই।
এদিকে রুমানার খুব কাছের এবং বেশ কিছু নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়ী এলিন দীর্ঘদিন ধরেই আমেরিকায় ব্যবসা করছেন। রুমানার সাথে তার আগের পরিচয় থাকলেও এবারের সফরেই শখ্য গড়ে ওঠে। এবং এলিনের নিকটাত্মীয়ই রুমানার সাথে বিয়ের বিষয়টি মিডিয়াকে জানান। উল্লেখ্য, রুমানার বড়ভাই দীর্ঘদিন ধরেই আমেরিকায় সেটেলড। রুমানা আমেরিকায় তার ভাইয়ের বাড়িতেই রয়েছেন। পাশাপাশি নিউইয়র্কের বাঙালি কমিউনিটির ফ্যাশন হাউজ ভাসাবীর কিছু মডেলশুটও করেছেন। তাই এবারের বিয়ের ঘটনায় মোনালিসার পর রুমানারও আমেরিকায় স্থায়ীভাবে থাকার বিষয়টি চুড়ান্ত হলো এমনটাই মনে করছেন অনেকে।
পাঠকের মতামত