ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিলে সম্ভাব্য প্রার্থীসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা মাঠে নামতে পারবেন কি না, তা নিয়ে চিন্তিত বিএনপি। নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে এই উদ্বেগের বিষয়টি দল-সমর্থিত প্রার্থীদের দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
বিএনপির উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র জানায়, সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে তারা সবার জন্য সমান সুযোগের (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) বিষয়টি সামনে আনতে চায়। সে ক্ষেত্রে তারা রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার-হয়রানি বন্ধ করা, নেতারা যাতে প্রকাশ্যে আসতে পারেন, প্রচার চালাতে পারেন ইত্যাদি বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে নিশ্চয়তা চাওয়ার বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দল ও জোটে আলোচনা করে এটি চূড়ান্ত হবে। যদি সিদ্ধান্ত ইতিবাচক হয়, তবে এ বিষয়গুলো সামনে আসবে।
বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ অপর একটি সূত্র জানায়, হঠাৎ করে সিটি করপোরেশনের নির্বাচন দেওয়াকে সরকারের কৌশল হিসেবেই দেখছে বিএনপি। তারা মনে করছে, সম্ভাব্য দুটি কারণে এ নির্বাচন দেওয়া হয়েছে। একটি হলো বিএনপির আন্দোলন থেকে দৃষ্টি ফেরানো, অন্যটি হলো বিএনপি নির্বাচনে না গেলে খালি মাঠে গোল দেওয়া। এ অবস্থায় ঢাকার দুই সিটি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের আগ-পিছ অনেক কিছু ভাবতে হচ্ছে।
তবে এরই মধ্যে নির্বাচন নিয়ে প্রারম্ভিক কিছু কাজ শুরু করেছেন দলটির দুই মহানগরের নেতারা। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাও তাঁরা পর্যবেক্ষণ করছেন। তাঁরা বলছেন, নির্বাচনের জন্য পরিবেশ তৈরি করা জরুরি। স্থানীয় সরকার নির্বাচন নামে অরাজনৈতিক হলেও সবকিছু হয় দলীয়ভাবে। দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালবদ্ধ। মেয়র পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাঁদের নাম আলোচনা হচ্ছে, তাঁদের কেউ কেউ কারাগারে কিংবা আত্মগোপনে। কাউন্সিলর পদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা।
স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য জানান, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। এ অবস্থায় নির্বাচনে গেলে বিএনপির প্রার্থীরা মাঠে নামতে পারবেন কি না, তা নিয়ে তাঁরা শঙ্কায় আছেন।
এ বিষয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনে যাঁরা সম্ভাব্য প্রার্থী এবং প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করবেন, তাঁরা হয় কারাগারে, না হয় গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে। তাঁরা প্রচারে বের হলে যদি পুলিশ গ্রেপ্তার শুরু করে, তাহলে তো কাজ করা যাবে না। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে এটি পরিষ্কার করতে হবে যে নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে না। তাঁদের মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
প্রকাশিত: ২৩/০৩/২০১৫ ৭:৫১ পূর্বাহ্ণ
কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপে অবৈধ ভাবে স্থাপনা নিমার্ণ অভিযোগে দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষে ...
পাঠকের মতামত