স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে::
মুঠোফোনে পরিচয়। এরপর প্রেম। প্রেমিক জাহাঙ্গীর (২৮)কে ভালবেসে বিয়ে করেন প্রেমিকা লাকী (২২)। কিন্তু মধুচন্দ্রিমার ঘোর কাটতে না কাটতেই মোহভঙ্গ হয় লাকীর। হঠাৎ করেই বদলে যেতে থাকেন জাহাঙ্গীর। খারাপ ব্যাবহার করতে থাকে লাকীর সঙ্গে। এক পর্যায়ে লাকী জানতে পারে, প্রেমিক স্বামী জাহাঙ্গীর এর আগেও আরেকটি বিয়ে করেছিল। সাবেক স্ত্রীকে খুনের দায়ে জাহাঙ্গীর জেলও খেটেছেন। এ অবস্থায় গত ১ই জুন জাহাঙ্গীরকে তালাক দেয় লাকী। তালাক দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয় জাহাঙ্গীর। কৌশলে লাকীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে স্বামী ও তার সহযোগীরা শ্বাসরোধে হত্যা করে লাকীকে। পরে বস্তাবন্দী করে শুক্রবার দিবাগত রাতে লাশ ফেলে রেখে যায় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত পুলেরঘাট এলাকার শিংগুয়া নদীতে। শিংগুয়া নদীর পাড় থেকে শনিবার দুপুরে অজ্ঞাত হিসেবে বস্তাবন্দী লাকী আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। নিহত লাকী আক্তার পাকুন্দিয়া উপজেলার নারান্দি ইউনিয়নের শালংকা গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সোহরাব উদ্দিনের কন্যা। অন্যদিকে ঘাতক স্বামী জাহাঙ্গীর আলম একই উপজেলার ষাইটকাহন গ্রামের মতিউর রহমান ওরফে মতি মেম্বারের পুত্র। জাহাঙ্গীর পাকুন্দিয়ার পুলেরঘাট বাজারের ডিশ ব্যবসায়ী। এ ব্যাপারে শনিবার রাতে নিহতের মা খুশনা নাহার বাদী হয়ে জাহাঙ্গীরসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন। কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন জানান, নিহতের স্বজনরা বিকালে হাসপাতাল মর্গে এসে লাশ সনাক্ত করেণ। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
প্রকাশিত: ০৩/০৮/২০১৪ ২:৪৪ অপরাহ্ণ
আব্দুস সালাম,টেকনাফ টেকনাফের শামলাপুর-হোয়াইক্যং ঢালা থেকে অপহৃত দুই পথচারীকে উদ্ধারে পাহাড়ে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। ...
পাঠকের মতামত