জিয়াউর রহমান, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ঃ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে এক ভারতীয় কিশোরীকে জোর পুর্ব্বক অপহরণ করে নিয়ে এসেছে বাংলাদেশি এক যুবক। এ নিয়ে সীমান্তের দু”পাড়ের বিজিবি বিএসএফ চরম অবস্থান নিয়েছে। যে কোন মুর্হুতে দু’ সীমান্তবাসী গ্রামের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সম্ভবনা রয়েছে।
বিজিবি ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার সন্ধায় উপজেলার কাশিপুরের সীমান্তবর্তি ধর্মপুর গ্রামের কলেজ পড়–য়া মঈনুল হকের ছেলে মোঃ রুবেল মিয়া পাশ্ববর্তি আন্তর্জাতিক পিলার নং ৯৪৩ এর নিকট কাটাতারের বেড়ার বাইরে ভারতীয় কোচবিহার জেলাধীন দিনহাটা থানার সীমান্ত গ্রাম সেউটি-২ এলাকার ধাপরারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ফজলুর রহমানের মেয়ে ফিরোজা খাতুন ফিরোকে জোর পুর্ব্বক অপহরণ করে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। বিষয়টি সীমান্তবর্তি দু’গ্রামের মধ্যে জানাজানি হয়ে গেলে ভারতীয় ফজলুর রহমার নিকটবর্তি ১৮১ বিএসএফ সেউটি-২ ক্যাম্পে জানালে মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য তৎপরতা শুরু করে। অপর দিকে ৪৫ বিজিবি কুড়িগ্রাম কাশিপুর ক্যাম্পের কাছে ভারতীয স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের কথা জানতে পেয়ে তাড়াও তাকে উদ্ধারের জন্য তৎপরতা শুরু করে। এরিপোর্ট লেখা পযর্ন্ত ভারতীয় মেয়েটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় কাশিপুর ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য ফেরদৌস হাসান, স্থানীয় মিজান ও আফজাল হোসেন জানান, ভারতীয় মেয়েটিকে তারা পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে অপহরণ করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত।
আন্তর্জাতিক ৯৪৩নং পিলারের ভারতীয় অংশের অপহৃত ফিরোজা খাতুন ফিরোর দাদু আবুল হোসেন জানান, তার নাতনিকে রুবেল অপহরণ করেছে । আমি এর উপযুক্ত বিচার দাবি করি।
এ প্রসঙ্গে ৪৫ বিজিবি কাশিপুর কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার ইমরান নিজামি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমরা ভারতীয় অপহৃত মেয়েটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বিষয়টি আমাদের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
প্রকাশিত: ০২/০৮/২০১৪ ৮:০৪ অপরাহ্ণ
মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী,টেকনাফ মাদক,মানব পাচার,অপহরণ,চোরা চালান,অবৈধ অস্ত্র মওজুদ,রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ,মোবাইল জুয়া, ইভটিজিং,দস্যুতা,রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী, হোয়াইক্যং ...
পাঠকের মতামত