আরো ৬ কেন্দ্রের ওপর হাইকোর্টের রুল
হাছান কুতুবী, কুতুবদিয়া:
দু’দফায় সম্পন্ন হওয়া কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট, কালো টাকার ছড়াছড়ি ও সহিংস ঘটনায় ব্যালট পেপার ছিনতাইসহ অসস্তিকর পরিবেশের কারণে ভোটার ও প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের আশার তেমন প্রতিফলন ঘটেনি। তাছাড়া নির্বাচনী ফলাফলটি আইনী জঠিলতায় আটকে থাকায় দ্বীপবাসীর মাঝে ¯œায়ু চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে এই নির্বাচনে শনির দশা কাটেনি বলে অনেকেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন।
গত ২৩ মার্চ অনুষ্টিত নির্বাচনে ৩৬ কেন্দ্রের মধ্যে ৮টি কেন্দ্র উত্তর ধূরুংয়ের বাঁকখালী, তেলিয়াকাটা, দক্ষিণ ধূরুংয়ের মদন্যাপাড়া সাইক্লোন সেল্টার, পূর্ব ধূরুং, দক্ষিণ ধূরুং, আলী ফকির ডেইল, উত্তর লেমশীখালী ও পশ্চিম লেমশীখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যাপক সহিংস ঘটনা ঘটে। কেন্দ্রগুলোতে কর্মকর্তাদের মারধর করে নির্বাচনী সরঞ্জাম ছিনতাইসহ গুলি বর্ষণ হয়। এ ঘটনায় কয়েক ঘন্টা ধরে ভোট গ্রহন বন্ধ থাকে। পরে হ.য.ব.র.ল অবস্থায় ৬টি কেন্দ্রে পুন:ভোট গ্রহন হলেও তেলিয়াকাটা ও পশ্চিম লেমশীখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ২টির ভোট গ্রহন স্থগিত ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আ.স.ম.শাহরিয়ার চৌধূরী উল্লেখিত কেন্দ্রগুলোতে পুন: নির্বাচনের আবেদন করে একটি রীট পিটিশন দায়ের করলে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারী করেন।
এদিকে গত ৯ এপ্রিল অনুষ্টিত দু’টি কেন্দ্রের পুন:নির্বাচনসহ সর্বশেষ প্রাপ্ত ফলাফলে বিএনপির এ.টি.এম.নুরুল চৌধুরী ১৭হাজার ৬শ’ ৯৭ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী জামায়াতের উপজেলা সেক্রেটারী আ.স.ম.শাহরিয়ার চৌধূরী ১৫হাজার ৯শ’ ১৭ ভোট পেয়েছেন। মহামান্য হাইকোর্টের রোল জারী থাকায় আপাতত: কোন প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা গেলো না বলে জানিয়েছেন সহকরি রিটার্নিং ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মমিনুর রশিদ।
পাঠকের মতামত