এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া
চকরিয়ায় লবণাক্ত এলাকায় কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও দুর্যোগ ঝুঁিক প্রশসন বিষয়ক কর্মশালায় বক্তারা বলেছেন, লবণাক্ত জমিতে ধান চাষের মাধ্যমে রয়েছে অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নিশ্চিত হাতছানি। কৃষি বিভাগের সঠিক দিকনির্দেশনা কাজে লাগিয়ে চাষাবাদ করা হলে নিশ্চিত ভাল ফলন আসবে। এজন্য উপকুলীয় অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে। চিংড়ি ও লবণ চাষের জমিতে প্রযুক্তিগত চাষের মাধ্যমে অবশ্যই কৃষি চাষাবাদ করা সম্ভব। বক্তারা আরো বলেন, লবণ জমিতে ইতোমধ্যে পরীক্ষামুলক ভাবে বিনা ধান ৮, বিনা ধান ১০, ব্রিধান ৪৭ ও ৫০ জাতের চাষাবাদ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে কৃষকরা আশাতীত সাফল্য পেয়েছে। গতকাল রোরবার সকালে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষন সেন্টারে অনুষ্টিত কর্মশালায় বক্তারা এসব তথ্য উপস্থাপন করেন।
বাংলাদেশ কৃষি বিভাগের আওতাভুক্ত ভিজাস্টার এন্ড ক্লাইমেট রিক্স ম্যানেজম্যান্ট ইন এগ্রিকালচার প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলার ৪০জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের অংশ গ্রহনে এ কর্মশালা অনুষ্টিত হয়েছে। চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.আতিক উল্লাহ’র সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক গোপাল চন্দ্র দাশ, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রকল্পের টেকনিকেল অফিসার মো.ইকবাল হোসেন।
কর্মশালায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.আতিক উল্লাহ বলেন, উপজেলার উপকুলীয় অঞ্চলের লবন ও চিংড়ি জমিতে ধান চাষের জন্য ইতোমধ্যে কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। অনেকে লবণাক্ত জমিতে ধান চাষ করে সাফল্যও পেয়েছে। তিনি বলেন, সরকার কৃষিখাতে নতুন নতুন অভিযোজনের মাধ্যমে দুর্যোগ ঝুঁিক প্রশমন করে লবণাক্ত জমিতে ধান চাষে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নিয়েছে। এখন শুধু প্রয়োজন কৃষকদেরকে এব্যাপারে আরো বেশি করে সচেতন করে তোলা।
প্রকাশিত: ০৭/০৪/২০১৪ ১২:৪৩ অপরাহ্ণ
দেশের বহুল আলোচিত ককসবাজারের রামুর গর্জনিয়া বাজার পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ সালাহ ...
পাঠকের মতামত