সেলিম উদ্দীন,ঈদগাঁও (কক্সবাজার) থেকে
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে প্রস্তাবিত ২০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ফাইলবন্দী হয়ে পড়ে আছে। এতে করে এলাকার বৃহৎ জনগোষ্টীর মৌলিক চাহিদা গুলোর অন্যতম চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এদিকে জেলা সদর থেকে ৩৩ কিলোমিটার দূরে বৃহত্তর ঈদগাঁও’র মানুষগুলো জরুরী চিকিৎসা সেবার অভাবে অকাল মৃত্যুর শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বৃহত্তর ঈদগাঁও’র বিপুল জনগোষ্টীর কথা বিবেচনা করে ঈদগাঁওতে একটি ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল প্রতিষ্টার প্রস্তাব যাবতীয় বিধি অনুসরন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠালে স্থানীয় পর্যায়ে যাচাই বাচাই ও জায়গা চুড়ান্ত করার পর সিএমএমইউ ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল প্রতিষ্টার ব্যাপারে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেন বিগত ২/১ বছর পূর্বে। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও অদ্যবধি এ সংক্রান্ত ফাইলটি আলোর মুখ দেখেনি।
সূত্রে জানা গেছে সাবেক সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অজয় ঘোষ এ ব্যাপারে আন্তরিকতার সাথে কাজ করেন এবং তাকে সহযোগিতা করেন ঈদগাঁও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের তৎকালীন মেডিকেল অফিসার ঈদগাঁও’র সন্তান ডাক্তার কামরুল আজাদ।
আরো জানা গেছে, ঈদগাঁওতে একটি পূর্নাঙ্গ হাসপাতালের চাহিদা থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে একটি উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র দিয়েই চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। এতে স্বল্প সংখ্যক মানুষ চিকিৎসা সেবার আওতায় এলেও বৃহৎ একটা অংশ দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত রয়েছে। প্রয়োজনীয় ঔষধও সরবরাহ দেয়া হয়না। আর যারা সরকারী ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র পান তাদেরকেও ঔষধ কিনতে হয় বাইরের ফার্মেসী থেকে। এভাবেই চলছে বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা ইসলামাবাদ, ঈদগাঁও, জালালাবাদ, পোকখালী, চৌফলদন্ডী, ইসলামপুর ও ভারুয়াখালী ইউনিয়নের লক্ষাধিক জনগোষ্টীর সরকারী চিকিৎসা সেবা প্রদান। এছাড়া চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী এবং রামু উপজেলার রশিদনগর ও ঈদগড় ইউনিয়নের দরিদ্র মানুষ গুলোও এই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল। ফলে ঈদগাঁওতে একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল প্রতিষ্টার দাবী জোরালো হয়ে উঠছে।
ঈদগাঁও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সাবেক মেডিকেল অফিসার এবং বর্তমান ককসবাজার সরকারী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ কামরুল আজাদ জানিয়েছেন, ১০ শয্যার হাসপাতাল প্রতিষ্টার সিদ্ধান্ত হওয়ার পর ২৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাবও দেয়া হয় ৩টি ভবন, ডাক্তার কোয়ার্টার ও স্টাফ কোয়ার্টার সহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের জন্য।
সচেতন মহলের মতে, অনুমোদন হওয়া হাসপাতালটির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে ঈদগাঁওবাসী দ্রুত একটি সরকারী হাসপাতাল পাবে।
প্রকাশিত: ০৫/০৪/২০১৪ ১:৩০ অপরাহ্ণ
দেশের বহুল আলোচিত ককসবাজারের রামুর গর্জনিয়া বাজার পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ সালাহ ...
পাঠকের মতামত