ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২৪ ১:২৪ পিএম

 

আব্দুস সালাম,টেকনাফ (কক্সবাজার)
কক্সবাজারের টেকনাফ সদরের হাবিরছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৩ হাজার ৪০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে র‌্যাব-১৫ এর সদস্যরা। এসময় জড়িত তিন মাদক কারবারীকে করা হয়।

আটককৃতরা হলেন,মায়ানমার আকিয়াব জেলার
ছেক্কাইম থানার ডেবাইং গ্রামের আব্দুস শুক্কুরের ছেলে রোহিঙ্গা নাগরিক কাশিম (২০), টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড হাবির ছড়া গ্রামের মৃত কালু মিয়ার ছেলে আব্দুল মতলব (৪৫),টেকনাফ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড পুরাতন পল্লান পাড়ার মোঃ সৈয়দুল হকের ছেলে মোঃ আয়াছ (১৯)।

কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও
সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া)
মোঃ আবু সালাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান,বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ থানাধীন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডস্থ হাবির ছড়া এলাকার জনৈক আব্দুল মতলবের পাকা বসতঘরের ভিতর ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মাদকদ্রব্যসহ কতিপয় মাদক কারবারী অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫, সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্পের আভিযানিক দল উক্ত এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ঘর থেকে বেরিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে পার্শ্ববর্তী দেশের এক রোহিঙ্গা নাগরিকসহ তিনজন মাদক কারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয় আভিযানিক দল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে বিবি মোতাবেক আটককৃতদের দেহ ও উক্ত বসত ঘর তল্লাশী করে শয়ন কক্ষের খাটের নিচে থাকা একটি সাদা রংয়ের শপিং ব্যাগের ভিতর থেকে ৩৩ হাজার ৪০০ পিস ইয়াবা, ভেঙ্গে যাওয়া ইয়াবা ৩৫০ গ্রাম এবং ৩টি স্মার্ট ও ১টি বাটন ফোন উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,ধৃত কাশিম পার্শ্ববর্তী দেশের নাগরিক ও একজন মাদক কারবারী। জিজ্ঞাসাবাদে সে বাংলাদেশে বসবাসের অবস্থান ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসের এফসিএন কার্ড কিংবা এমআরসি কার্ড নাই বলে জানায়। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, আটককৃত মাদক চক্রটি একে অপরের যোগসাজসে দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবারের সাথে জড়িত। ধৃত কাশিম পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য ইয়াবা বহন করে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। এরপর তার বাংলাদেশী মাদক কারবারী এজেন্ট ধৃত আব্দুল মতলব ও মোঃ আয়াছ এর নিকট সরবরাহ করতো। পরবর্তীতে আটককৃত আব্দুল মতলব ও মোঃ আয়াছ পরস্পর যোগসাজসে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে সংগ্রহকৃত মাদক স্থানীয় এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট বিক্রয়সহ কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা সরবরাহ করতো বলে জানা যায়।

তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত মাদকসহ আটককৃত মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত

ভেসে আসলো বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ ২ মৃতদেহ, মস্তকবিহীন মিলল আরেক মৃতদেহ

           টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপ বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ ৩ জনের মধ্যে দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার ...

সেন্টমার্টিন চ্যানেলে ট্রলার ডুবি, দুই উদ্ধারকারীসহ এখনও নিখোঁজ তিন

           আব্দুস সালাম,টেকনাফ (কক্সবাজার) কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনদ্বীপ যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরের শাহপরীরদ্বীপ গোলারচরের মোহনায় এফবি ...