ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৪ ১২:০৭ পিএম , আপডেট: মে ১৯, ২০২৪ ১২:১৬ পিএম

পলাশ বড়ুয়া ॥
দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রুমখাঁপালং হাতির ঘোনা গ্রামে স্কুল সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। জীবন ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত চলাফেরা করছে হাজারো শিক্ষার্থীসহ দুই ইউনিয়নের মানুষ। খালের পাড় সংলগ্ন সড়কের গর্ত ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে চলাচলের অযোগ্য হয়ে গেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার অভাবে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তাদের দাবি, হলদিয়াপালং ও রত্নাপালং ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী হওয়ায় সড়কটি দিকে তেমন গুরুত্ব দেয় না দুই ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা। অথচ এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন ছোট-বড় যানবাহনসহ রুমখাঁপালং উচ্চ বিদ্যালয় ও রুমখাঁপালং হাতির ঘোনা সাইরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষাথী এবং সাধারণ মানুষ চলাচল করে। বর্তমানে বহুমূখী সড়কটি চলাচলের অযোগ্য প্রায়ই।

সরেজমিনে দেখে গেছে, উত্তরে হলদিয়াপালং ইউনিয়নের সীমানা। দক্ষিণে রত্নাপালং ইউনিয়ন সীমানা। মাঝখানে বয়ে গেছে জিয়া খাল। খালের পাড় ধরে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির হলদিয়াপালং অংশে ঘাটিপাড়া ডিসি সড়কের ব্রীজ থেকে যুক্ত হয়ে রুমখাঁপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এসে দুইদিকে মোড় নেয়। এর একটা অংশ দক্ষিণে রত্নাপালং ইউনিয়নের পূর্বরত্না মৈত্রী বিহারের দিকে চলে গেছে। অপরটি উত্তর-পশ্চিমে দক্ষিণ বড়বিলের দিকে চলে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষক অমূল্য চরণ বড়ুয়া বলেছেন, ১৯৯১ সালে হাতিরঘোনা, বড়বিল ও পূর্বরত্না গ্রামবাসীর সহযোগিতায় সড়কটি নির্মাণ করে দেয় ওয়ার্ল্ড ভিশন। এরপর থেকে আর সংস্কার হয়নি। বর্তমানে সড়কটি একেবারেই নাজুক হয়ে পড়েছে। বিষয়টি গ্রামবাসী বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিকে লিখিত আবেদন করেও কাজ হয়নি। পরে স্থানীয়রা কয়েকবার স্বেচ্ছাশ্রমে তালিজুড়া দিয়ে কোন রকম চলাচল করে।

রুমখাঁপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন বলেছেন, শিক্ষার্থীদের চলাচলের সুবিধার্থে কয়েকবার বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও কাজ হয়নি। কয়েকবার স্থানীয়দের সহায়তায় কোন রকম চলাচল উপযোগী করলেও তা টেকসই হয় না। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে আসলেও বর্ষামৌসুমে মোটেও সম্ভব হবে না। একই ধরণের কথা বলেছেন, রুমখাঁপালং হাতির ঘোনা সাইরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: নাসির উদ্দিন।

হলদিয়াপালং ইউপি সদস্য শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, আবেদনের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে সড়কটি আইডি ভুক্ত করা হয়েছে। আশা করি অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার কাজ শুরু হবে।
সড়কটি রক্ষায় ইতোপূর্বে খালের পাশের গাইডওয়াল নির্মাণের জন্য রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষের সাথেও আলোচনা করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উখিয়া উপজেলা প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান খান বলেছেন, আইডিভুক্ত না হলে এলজিইডির পক্ষ থেকে কিছু করার সুযোগ থাকে না। এই সড়কটির আইডি এখনো প্রক্রিয়াধীন। তবে জনদূর্ভোগ লাগবে স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথে আলাপ করে সংস্কারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

পাঠকের মতামত

উখিয়ায় ৪১ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী এসিল্যান্ড যারীন, প্রথম মাসেই চমক!

         কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা উখিয়ার ৪১ বছরের ইতিহাসে প্রথম সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে নিযুক্ত হয়ে প্রথম ...

কুতুবদিয়ায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে উপজেলা প্রশাসন

         কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নের শাহরুম সিকদার পাড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ৪টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।   ...