অনলাইন ডেস্ক।
বিশেষ দিন বা টানা ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুদের পছন্দের শীর্ষে থাকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। ফলে এবারের ঈদ ও পহেলা বৈশাখের পাঁচ দিনের ছুটিতে লাখো পর্যটক সমাগমের আশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। এর মধ্যে পর্যটকদের বরণে হোটেল-মোটেল,গেস্ট হাউস,রিসোর্ট ও বিনোদনকেন্দ্রগুলো নতুন করে সাজানো হয়েছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, এবারের ঈদ ও পহেলা বৈশাখের ছুটিতে মাঝারি ও তারকামানের হোটেলগুলোতে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়েছে।
ট্যুর অপারেটর অব কক্সবাজারের(টুয়াক) সূত্র জানায়, ১২ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত ৫ দিন সৈকতে ৪ থেকে ৫ লাখ পর্যটক আসতে পারে। পর্যটকেরা সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ,ইনানী,পাটুয়ারটেক, সাগরদ্বীপ মহেশখালী ও সোনাদিয়া, রামুর বৌদ্ধবিহার, চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক ও সুরাজপুরের নিভৃতে নিসর্গসহ দর্শনীয় স্থানগুলোতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।এ দিকে এবারের ঈদ ও পহেলা বৈশাখের ছুটিতে পর্যটকদের চাপ সামলাতে কক্সবাজার-ঢাকা রুটে বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটেও প্রথমবারের মতো স্পেশাল কমিউটার ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, পর্যটকদের বাড়তি চাপ সামলাতে এবারের ঈদ ও পহেলা বৈশাখের ছুটিতে কক্সবাজারের রাস্তাঘাট এবং পর্যটন স্পটসমূহে ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া শহরের কলাতলী থেকে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় দিনরাত ২৪ ঘন্টা পুলিশী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ভ্রমণে আসা পর্যটকেরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের বীচকর্মীরা দায়িত্ব পালন করছে। দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পর্যটন এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতও মাঠে থাকবে।
পাঠকের মতামত