আবারও ভ
ডেস্ক রিপোর্ট
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে চলা সংঘর্ষে মর্টার শেল ও গুলির তীব্র শব্দ শোনা যাচ্ছে। বেশ কয়েক দিনবন্ধ থাকার পর রোববার (৭ এপ্রিল) ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থেমে থেমে মর্টার শেলের শব্দে কেঁপে ওঠে সীমান্ত অঞ্চল। শব্দের তীব্রতায় আতঙ্ক দেখা দেয় সীমান্ত এলাকার লোকজনের মধ্যে।
সীমান্তে গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে নিশ্চিত করে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নুর কবির বলেন, সকাল থেকে সীমান্তে ভারী গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। এতে সীমান্তের লোকজন ভয়ের মধ্যে আছেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর আবারও রোববার ভোরে মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। এতে হোয়াইক্যং সীমান্তের খারাংখালী, নয়াবাজার, মিনাবাজার, কানজরপাড়া, জিম্মখালী, উনচিপ্রাং, লম্বাবিল সীমান্তে মিয়ানমারের ভারী গোলার বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া ভারী গোলার শব্দের কারণে হ্নীলা, টেকনাফ পৌরসভা ও সাবরাং সীমান্তে বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেছেন, সীমান্তের ওপার মিয়ানমার থেকে থেমে থেমে ভারী মর্টার শেলের শব্দ শুনতে পাই। এসব গোলার শব্দ এখন নিয়মিত ঘটনার মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হোয়াইক্যং সীমান্তে বসবাসকারী মোহাম্মদ ফারুক বলেন, কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর ভোর থেকে আবারও ভারী গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। সীমান্ত এলাকার লোকজন আতঙ্কে রয়েছে। মনে হচ্ছে মাটি খুঁড়ে কেউ নিয়ে যাচ্ছে।
টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ আলম বলেন, সীমান্তে গোলার শব্দ পাওয়া গেছে। অন্য দিনের তুলনার আজকের (রোববার) শব্দ বিকট।
এদিকে মিয়ানমারের মংডু ও বুথেডংয়ে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফ নদে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যরা দিনরাত টহল দিচ্ছেন। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি ও কোস্টগার্ড প্রস্তুত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
পাঠকের মতামত