প্রতিনিধি।
কক্সবাজার টেকনাফে কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা করে গরুর মাংস বিক্রি করার অভিযোগ ওঠেছে কসাইদের বিরুদ্ধে । অন্যান্য দিন গরুর মাংস ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও শবে কদরের বাহানায় মাংস বিক্রি করছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা।
মাংস কেনার সামর্থ না থাকায় অনেকে মাংসের দাম শুনে বাসায় ফিরে গেছেন বলে জানা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাও বেড়ে যায়। দাঁড়াতে হয় লাইনে। মাংস কিনতে গেলে কসাইরা বলে একদাম ৮০০ টাকা দামাদামি করলে এক হাজার!
শনিবার (৬ এপ্রিল) টেকনাফ পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মাংসের বাজারে একই চিত্র দেখা গেছে।
সোহেল রানা বাপ্পি নামের হ্নীলার একজন ক্রেতা জানান,আবু ছিদ্দিকের দোকান থেকে ৮০০ টাকা করে আমি গরুর মাংস কিনেছি। দাম গরীবের নাগালের বাহিরে যেন দেখার কেউ নেই। সাধারণ মানুষের অভিযোগ,উপজেলা প্রশাসনের উদাসীনতার সুযোগে কসাইগণ এত উচ্চ দামে মাংস বিক্রি করার সুযোগ পেয়েছে। টেকনাফে মাংসের বাজারে ভোক্তা অধিকার বা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঠিকভাবে মনিটরিং করছেন না বলে অভিযোগ ওঠেছে।
হ্নীলা মাংসের দোকানের সামনে দাঁড়ানো কয়েকজন ব্যক্তি জানান,সকাল থেকে চড়াদামে মাংস বিক্রি হচ্ছে। মাংসের বাজারে কারো নজরদারি নেই। সর্বনিম্ন ৮০০ টাকা হলেও প্রকারভেদে ১০০০ টাকাও নেয়। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের চাহিদার কারণে কসাইরা মাংসের দাম অতিরিক্ত নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন সচেতন মহল।
কক্সবাজার সিটি কলেজের প্রভাষক ও স্থানীয় নাগরিক এহসান উদ্দিন বলেন,গতকাল আমরা গরু কিনতে চেয়েছিলাম কিন্তু সিন্ডিকেটের কারণে আমাদের গরু বিক্রি করতে চাইনি। ৬০০ টাকা করে মাংস বিক্রি করা কোনো ব্যাপারই না। বাজারে প্রশাসনের কোনো তদারকি নেই বলে জানিয়ে তিনি জানান, প্রশাসন তদারকি করলে অবশ্যই দাম কমে আসতো,তবে বাজারে প্রশাসনের কোসো হস্তক্ষেপ নেই।
এদিকে মাংসের বাজারে দাম বেশি নিচ্ছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে অনেকে লেখালিখি করেছেন। তবে এসব প্রশাসনের নজরে আসেনি ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আদনান চৌধুরীর মুঠোফোনে কয়েকবার কল দিলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
#####
পাঠকের মতামত