শাহেদ হোছাইন মুবিন :
ভাই, একটা নিলে ১৫ টাকা, ১০ টাকার নিচে কোনো কলা নাই, হাসতে হাসতে কথাগুলো বলছিলেন বদর মোকামস্থ কস্তুরাঘাটের কলা বিক্রেতা সলিম উল্লাহ।
মাত্র ১০-১৫ দিন আগেও একটি কলার দাম যেখানে ১০ টাকা ছিল, সেখানে এখন এত দাম বেড়েছে কেন জিজ্ঞেস করতে তিনি বলেন, “সব জিনিসের দাম বেশি এখন। এসব কলা বেশি দামে কিনতে হয়েছে। তাই এই দামের নিচে বিক্রি করলে আমাদের পোষাচ্ছে না। তবে দাম বেশি হওয়ায় কমেছে বিক্রি।
শুক্রবার ( ১৫ মার্চ ২৪) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইফতারি ও সেহরির অন্যতম অনুষঙ্গ কলার দাম যেন আকাশ ছুঁয়েছে কক্সবাজারের বাজারগুলোতে। রোজা শুরুর আগে বড় আকারের কলা (কাঁঠালি/সাগর) বিক্রি হয়েছে প্রতি হালি ২০-৩০ টাকা। অথচ রোজার ৪র্থ দিনে এক লাফে বাজারে কলার দাম হালিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৮০ টাকায়।
প্রতিটি কলার দাম পড়ছে ১৫-২০ টাকা পিস। কোথাও কোথাও ২০ টাকা পিস। আর মাঝারি ও ছোট আকারের কলা বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকা পিস হিসেবে। আকাশছোঁয়া দামের কলার দিকে তাকাতে পারছেন না নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা।
শহীদ সরণিস্থ কক্সবাজার জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে কলা কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে কলার দাম শুনে গেছি প্রতি হালি ৪০ টাকা। নামাজ শেষ করে কলা কিনে বাড়ি যাব ভেবে নামাজের পর এসে দাম শুনি প্রতি হালি ৫০ টাকা। নামাজের ব্যবধানেই প্রতি হালিতে ১০ টাকা বেড়ে গেল, এটা কি ভাবে মেনে নেওয়া যায়?
সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ, রমজানে রকেটের গতিতে বাড়ছে কলার দাম! প্রতি পিছ কলার দাম বেড়েছে ৩-৭ টাকা করে। আর কলা বুঝে হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা দরে।
পবিত্র রমজান মাসকে ঘিরে দাম বৃদ্ধির এমন অস্থিরতায় ইফতারির তালিকায় কলা রাখার ইচ্ছে মিটে গেছে অনেক ক্রেতার। রমজান মাসে কলার চাহিদা বাড়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ইচ্ছেমতো। কলা বুঝে হালিতে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা দরে। ফলে এই কলা কিনতে গিয়েই অনেকই হিমশিম খাচ্ছেন।
বড় বাজারের খুচরা বিক্রেতা আমিন জানান, দীর্ঘদিন ধরে খুচরা বাজারে কলা বিক্রি করেন। আড়ত থেকে কেনা কলা সামান্য লাভে খুচরা বিক্রি করেন তিনি।
একাধিক কলা ব্যবসায়ীরা বলছেন, কিনতে হয় বেশি দামে, তাই বিক্রি করার সময় হাতে কিছু টাকা রেখে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে মাছ, মাংসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন অভিযানের চালালেও কলার আড়ত গুলোতে অভিযান তেমন চোখে পড়েনি। তবে রোজায় বাজার মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে বলে সূত্রে জানা যায়।
পাঠকের মতামত