শহিদুল ইসলাম /আব্দুস সালাম
মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) আরও দুই সদস্য টেকনাফের সীমান্তে দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। পরে তাদেরকে বিজিবির হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে সে দেশের দু’জন কমান্ডারসহ ৬৪ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তাদেরও হেফাজতে নেয় বিজিবি।
জানা গেছে, মিয়ানমার বিজিপির সদস্যদের টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর অধীনস্থ হোয়াইকয়ং বিওপি ক্যাম্পে তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। পরে ওই ৬৪ জন বিজিপির সদস্যকে হোয়াইক্যং বিওপি থেকে গাড়িযোগে টেকনাফ হ্নীলা হাইস্কুল আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অপরদিকে সীমান্তের ওপারে থেমে থেমে এখনো মর্টারশেল ও গোলাগুলির শব্দে এপারের মানুষদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্ক। স্থানীয় বাসিন্দা বশির আহমদ বলেন, ওপার থেকে মর্টারশেল পড়ে দু’জন নিহত হলো। গুলিতে আহত হলো একাধিক লোক। সেখান থেকে সরে গেছে শত শত লোকজন। এমন পরিস্থিতির মধ্যে আমরাও নিজেরা অনিরাপদের মধ্যে রয়েছি।
তিনি বলেন, আমাদের হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপারে গত ১০ দিন ধরে চলছে গোলাগুলি। হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া হচ্ছে গোলা। আমরা ভয়ে ও আতঙ্কে চিংড়িঘের, চাষাবাদে যেতে পারছি না। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও ভয় পাচ্ছি। এখনও চলছে থেমে থেমে গুলি ও মর্টারশেলের ফায়ার।
টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারি বলেন, সীমান্তে চলমান সংঘাতের কারণে এপারের সীমান্তবর্তী মানুষদের মাঝে সবসময় ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়টি নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছি। কাউকে ভয় না পেয়ে নিরাপদে থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
পাঠকের মতামত